নেত্রকোনায় কারারক্ষীকে ফাঁকি দিয়ে সেই আলমের পলায়ন

পুলিশের ওপর মলমূত্র ছুড়েও রক্ষা পাননি আলম মিয়া (মাঝ খানে কালো গেঞ্জি পরা)। ৩ মে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এবার দুই কারারক্ষীকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গেছেন তিনি। প্রথম আলো ফাইল ছবি
পুলিশের ওপর মলমূত্র ছুড়েও রক্ষা পাননি আলম মিয়া (মাঝ খানে কালো গেঞ্জি পরা)। ৩ মে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এবার দুই কারারক্ষীকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গেছেন তিনি। প্রথম আলো ফাইল ছবি

নেত্রকোনা শহরের মেহেদী হাসান ওরফে আলম চোর (৩২) এবার দুই কারারক্ষীকে ফাঁকি দিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে তিনি পালিয়ে যান। রাত আটটা পর্যন্ত তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে দুই কারারক্ষী জয়নাল আবেদিন ও সাইফুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আলম শহরের সাতপাই এলাকার বাসিন্দা বাদল মিয়ার ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বাসায় চুরি, মাদকসেবন ও মাদক ব্যবসায় জড়িত। তাঁর নামে জেলার বিভিন্ন থানায় দেড় ডজনের বেশি মামলা রয়েছে।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে আলম প্রচণ্ড পেটব্যথার কথা বলে অসুস্থতার ভান করেন। পরে কারা কর্তৃপক্ষ দুই কারারক্ষী জয়নাল আবেদিন ও সাইফুল ইসলামকে দিয়ে তাঁকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগে চিকিৎসা শেষে বের হওয়ার সময় ওই দুই রক্ষীকে ফাঁকি দিয়ে আলম কৌশলে দৌড়ে পালিয়ে যান। বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আলম চোর পালিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর হাতে হাতকড়া ছিল।

নেত্রকোনা কারাগারের জেল সুপার আবদুল কুদ্দুছ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘দায়িত্বে অবহেলার জন্য দুই কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী বলেন, ‘আলমকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। পালিয়ে যাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।’

গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নেত্রকোনা মডেল থানা-পুলিশ শহরের জয়নগর এলাকায় চুরির প্রস্তুতির সময় আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তাঁর দেহ তল্লাশি করে ২৩০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়। পরে আলমকে আদালতের নির্দেশে নেত্রকোনা কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার অভিযানের সময় পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ব্যাগভর্তি মলমূত্র ছুড়ে দিয়েছিলেন আলম