পাটজাত পলিথিন বাজারজাতে টাস্কফোর্স গঠনের সুপারিশ

পাটজাত পলিথিন ‘সোনালি ব্যাগ’-এর মালিকানা স্বত্ব বাংলাদেশের করে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া এবং বাণিজ্যিকভাবে এটি বাজারজাত করার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠনের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। প্রথম আলো ফাইল ছবি
পাটজাত পলিথিন ‘সোনালি ব্যাগ’-এর মালিকানা স্বত্ব বাংলাদেশের করে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া এবং বাণিজ্যিকভাবে এটি বাজারজাত করার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠনের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। প্রথম আলো ফাইল ছবি

পাটজাত পলিথিন ‘সোনালি ব্যাগ’-এর মালিকানা স্বত্ব বাংলাদেশের করে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া এবং বাণিজ্যিকভাবে এটি বাজারজাত করার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠনের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

আজ সোমবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

বৈঠকে পাটকল করপোরেশন জানায়, এখন প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার পাটজাত পলিথিন ব্যাগ তৈরি করা হচ্ছে। এগুলো ১৫ কেজি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন। কাঁচামাল, যন্ত্রপাতির অপচয়মূল্য, বিদ্যুৎ, কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা মিলিয়ে প্রতিটি ব্যাগের উৎপাদন খরচ পড়ছে সবমিলে ১২ টাকা ৯৩ পয়সা। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এই ব্যাগ উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ লাখ করে ব্যাগ উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদনে যাওয়ার পর ব্যাগের উৎপাদন খরচ কমে আসবে। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি ব্যাগ উৎপাদনে খরচ হবে সাত-আট টাকা।

বৈঠকে জানানো হয়, সোনালি ব্যাগ তৈরির মূল উপাদান পাট, বায়েন্ডার ও বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য। প্রতি তিন কেজি পাট থেকে এক কেজি সেলুলোজ পাওয়া যায়। প্রতি কেজি সেলুলোজ দিয়ে রাসায়নিক দ্রব্য সংমিশ্রণ করে বিভিন্ন বিক্রিয়ার মাধ্যমে তিন কেজি মডিফাইড সেলুলোজ তৈরি করা হয়। এর সঙ্গে বাইন্ডার মিশ্রণ যোগ করে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ও চাপে বিক্রিয়া করা হয়। সেখান থেকে তৈরি করা হয় পাতলা ফ্লিম, যা দিয়ে এই পলিথিন তৈরি করা হচ্ছে।

কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, ফাহমী গোলন্দাজ, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও সাবিনা আক্তার তুহিন বৈঠকে অংশ নেন।