রাজধানীতে পৃথক স্থানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ ও যুবকের মৃত্যু

মৃত্যু
মৃত্যু

রাজধানী ঢাকার কুড়িল ও ফার্মগেটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ ও এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে পৃথক স্থানে এ দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।

ভেজা কাপড় বিদ্যুতের তারে শুকাতে দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন শিরিন আক্তার ওরফে পুষ্প (২১) নামে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূ। আজ সকালে রাজধানীর কুড়িল এলাকার একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

পুষ্পর স্বামী মো. সুজন মিয়া পেশায় গাড়িচালক। ১২৬ কুড়িল বিশ্বরোডের কাজিবাড়ির টিনশেডের ঘরে তাঁরা ভাড়া থাকতেন। সুজন মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, তাঁদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে। দুই বছর আগে দুজনের বিয়ে হয়। সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা পুষ্প আজ সকালে গোসল করে ঘরের বাইরে তারে ভেজা কাপড় শুকাতে দিচ্ছিলেন। এ সময় বিদ্যুতের সংযোগ ছিল ওই তারে। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পুষ্প গুরুতর আহত হন। সেখান থেকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল আনার পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। 

পরে ময়নাতদন্তের জন্য পুষ্পের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠান ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলী হাসান।

আজ সকালে ফার্মগেটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে জিয়াউল হক (৩২) নামের এক যুবক মারা গেছেন। তিনি গ্লাস ফিটিংয়ের কাজ করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকালে ফার্মগেটে ফার্মভিউ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় গ্লাস ফিটিংয়ের কাজ করছিলেন জিয়াউল। বেলা ১১টার দিকে সেখানে বিকট শব্দ হয়। এ সময় মার্কেটের সামনের সড়কে পড়ে যান জিয়াউল। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনেন ফার্মগেট পুলিশ বক্সের আনসার সদস্য কমল দাস ও সাব্বির নামে এক পথচারী। বেলা একটার দিকে জিয়াউলকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের এসআই বাচ্চু মিয়া বলেন, জিয়াউলের গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলায়। তাঁর বাবার নাম আবদুর রশীদ। জিয়াউল ওই মার্কেটে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পড়ে যান। এ কারণে তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পরে। জিয়াউলের লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। লাশ হস্তান্তরের জন্য তাঁর পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে।