মুঠোফোনে মালয়েশিয়া গেল ডাকাতির খবর, অতঃপর...

বাড়িতে ডাকাত পড়েছে। ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হলেন দুজন। টুঁ শব্দটি করার জো নেই। বাড়ির এক নারীর স্বামী মালয়েশিয়া থাকেন। প্রবাসী স্বামীকে চুপিচুপি মুঠোফোনের বার্তায় জানালেন কী ঘটছে।

প্রবাসী ওই ব্যক্তি গ্রামের পরিচিতজনদের জানালেন তাঁর বাড়ির বিপদের কথা। আর যায় কোথা! গ্রামবাসী এক হয়ে ঘিরে ফেলল বাড়িটি। চার ডাকাতের মধ্যে পালাল তিনজন। একজনকে ধরে গ্রামবাসী দিল বেদম পিটুনি। মারা গেল ডাকাত।

গতকাল বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার মাঝিয়ালি গ্রামে মুনসুর আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। গণপিটুনিতে নিহত ডাকাতের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাঁর আনুমানিক বয়স ৩২ বছর।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে দুটি মোটরসাইকেলে করে চারজন ডাকাত মাঝিয়ালি গ্রামের মুনসুর আলীর বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় বাড়িতে ছিলেন মুনসুর আলীর স্ত্রী হাজেরা বেগম, বেয়াই দীন মোহাম্মাদ এবং মালয়েশিয়াপ্রবাসী দুই ছেলের দুই স্ত্রী। মুনসুর আলী এ সময় বাড়িতে ছিলেন না। ডাকাতেরা পেছনের দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন হাজেরা বেগম ও দীন মোহাম্মাদ।

এ সময় মুনসুর আলীর এক ছেলের স্ত্রী তাঁর মালয়েশিয়াপ্রবাসী স্বামীর কাছে ডাকাতির খবর জানিয়ে মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠান। ওই ব্যক্তি এলাকার লোকজনকে জানানোর পরই গ্রামবাসী এসে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে। গুরুতর আহত হাজেরা বেগমকে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

খাজুরা পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ডাকাতির সময় গণপিটুনিতে এক ডাকাত ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে। তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।’