ফারাক্কা মরণবাঁধ, বললেন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা, ১৮ মে। ছবি: প্রথম আলো
ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা, ১৮ মে। ছবি: প্রথম আলো

ফারাক্কা বাঁধকে ‘মরণবাঁধ’ আখ্যায়িত করে ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, এই বাঁধ দিয়ে নদীকে শুকিয়ে মারা হয়েছে।

ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চ দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ভাসানী অনুসারী পরিষদ এর আয়োজন করে।

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ফারাক্কা বাঁধ যে মানুষকে মেরে ফেলবে, তা বুঝেছিলেন মাওলানা ভাসানী। তিনি ছিলেন সমাজ বিপ্লবী, ছিলেন মেহনতি মানুষের নেতা। সারাটা জীবন মেহনতি মানুষের জন্য রাজনীতি করে গেছেন।

আবেদন-নিবেদন করে দাবি আদায় করা যায় না, মন্তব্য করে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মাওলানা ভাসানী ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে লং মার্চ করেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘নদী নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলতে হবে, বাঁধ দিয়ে আমাদের মেরে ফেলা হচ্ছে।’

সিরাজুল ইসলাম বলেন, পুঁজিবাদের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো জঘন্য চরিত্রের লোক আজ রাষ্ট্রক্ষমতায়, নরেন্দ্র মোদির মতো সাম্প্রদায়িক লোক ক্ষমতায়। পুঁজিবাদী শোষণ বেড়ে যাচ্ছে।

আলোচনা সভায় ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘পবিত্র রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। ভারত আমাদের প্রতিবেশী হিসেবে থাকুক কিন্তু ভারত যেন বাংলাদেশকে ব্যবসাকেন্দ্রে পরিণত না করতে পারে।’

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ অভিযোগ করেন, মজলুম জননেতা ভাসানীকে সচেতনভাবে ইতিহাস থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, জাতি যখন তাঁর কৃতী পুরুষকে ভুলে যায়, সেই জাতি কখনো আধুনিক জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে পারে না।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম, ভাসানী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক সাংসদ জহির উদ্দিন।