কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে ভেসে এল মৃত তিমি

কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের বালুচরে আটকে আছে মৃত তিমি। গতকাল শুক্রবার রাতে জোয়ারের সময় সৈকতের সংরক্ষিত বন এলাকায় তিমিটি আটকা পড়ে। সংরক্ষিত বন এলাকা, কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত, ১৮ মে। ছবি: প্রথম আলো
কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের বালুচরে আটকে আছে মৃত তিমি। গতকাল শুক্রবার রাতে জোয়ারের সময় সৈকতের সংরক্ষিত বন এলাকায় তিমিটি আটকা পড়ে। সংরক্ষিত বন এলাকা, কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত, ১৮ মে। ছবি: প্রথম আলো

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের বালুচরে মৃত একটি তিমি মাছ ভেসে এসেছে। গতকাল শুক্রবার রাতের ভরা জোয়ারের সময় কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের সংরক্ষিত বন এলাকায় তিমিটি ভেসে আটকা পড়েছে বলে জানান স্থানীয় জেলেরা। আজ শনিবার সকাল থেকে মৃত তিমিটি দেখতে কুয়াকাটায় আগত পর্যটক ও জেলেরা ভিড় করেন।

সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির প্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী ফারহানা আখতার বলেন, এটি ব্রিডিস তিমি বা বেলিন তিমি। এরা সাধারণত ৪০ থেকে ৫০ ফুটের মতো লম্বা হয়ে থাকে। কালো থেকে ধূসর বর্ণের এই তিমির পেটের দিকটা অনেকটা হালকা ক্রিম রঙের। এদের দাঁত থাকে না, এর বদলে ছাঁকনির মতো অংশ থাকে। যার মাধ্যমে এরা পানি থেকে ছোট ছোট মাছ ও চিংড়ি জাতীয় প্রাণী খেয়ে বাঁচে। এদের মাথা ছোট ও চওড়া এবং মাথায় তিনটি সমান্তরাল খাঁজ থাকে, যা দিয়ে সহজেই এদের আলাদা করা যায়। সাধারণত ১২ বছর বয়স থেকে বাচ্চা জন্ম দিতে পারে এ তিমি। বাংলাদেশের জলসীমানায় সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড এলাকায় এদের সচরাচর দেখা যায়।

কলাপাড়া উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, খুব সম্ভবত মাছটি সাত-আট দিন আগে মারা গেছে। তিমি মাছটির দেহাবশেষ সংরক্ষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সেটাও দ্রুত করতে হবে।

কুয়াকাটা সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তানভীর রহমান বলেন, ‘আমরা একটি মৃত তিমি ভেসে আসার খবর পেয়েছি। এর কারণে সৈকতে যাতে দুর্গন্ধময় পরিবেশ ছড়াতে না পারে, আমরা সে ব্যবস্থা নিয়েছি।’