তিন মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে আবেদন

প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম আলো ফাইল ছবি


কুমিল্লার দুই মামলা ও নড়াইলের এক মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আদালতের অনুমতি নিয়ে পৃথক এ তিন মামলায় আবেদন দাখিল করা হয় বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদন তিনটি শুনানির জন্য কাল কার্যতালিকায় আসতে পারে।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানান, বাস পুড়িয়ে মানুষ হত্যা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে কুমিল্লায় দুটি মামলা ও মানহানির অভিযোগে নড়াইলে করা মামলাটির জামিন আবেদন করা হয়।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী এম বদরুদ্দোজা বাদল প্রথম আলোকে বলেন, কুমিল্লার দুই মামলায় আগামী ৭ জুন জামিন আবেদন শুনানির দিন। এ মামলায় শুনানির দিন এগিয়ে আনার জন্য আবেদন করা হলে তা খারিজ হয়। এর বিরুদ্ধে জামিন চেয়ে হাইকোর্টের অনুমিত নিয়ে দুটি আবেদন দাখিল করা হয়েছে। আর মানহানির অভিযোগে নড়াইলের মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে। এর বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৮ ধারায় জামিন আবেদন করা হয়েছে। আগামীকাল মামলা তিনটি হাইকোর্টের ওই বেঞ্চে কার্যতালিকায় থাকবে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। বয়স ও সামাজিক মর্যাদার কথা বিবেচনা করে আদালত তাঁকে এই দণ্ডাদেশ দেন। এরপর থেকে খালেদা জিয়া নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।

রায়ের পর আপিল করে জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। শুনানি নিয়ে গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন। এই জামিনের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক লিভ টু আপিল করে, যা আপিল বিভাগ মঞ্জুর করেন। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিনও স্থগিত হয়। স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা, যা সেদিন চেম্বার বিচারপতির আদালতে ওঠে। আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় ৮ ও ৯ মে আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে দুদক, রাষ্ট্রপক্ষ ও খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। ১৫ মে অ্যাটর্নি জেনারেল ফের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।

১৬ মে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন। কিন্তু আরও কয়েকটি মামলায় তিনি গ্রেপ্তার থাকায় তিনি কারাগার থেকে বের হতে পারছেন না।