সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, নেই পানির উৎস

নীলফামারীর সৈয়দপুর দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ শপে আজ রোববার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে হতাহত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। কারখানার ভেতরে কোনো রকম পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই শপে একটি পাওয়ার কারের সংস্কারকাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। ওয়েল্ডিং করার সময় হঠাৎ সেখানে আগুন ধরে যায়। প্রাথমিকভাবে শপে রক্ষিত অগ্নিনির্বাপক গ্যাস দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আগুন ও ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পুরো শপ। কারখানার ভেতরে কোনো পানির উৎস তথা ওয়াটার হাউস বা ডোবা না থাকায় আগুন নেভাতে চরম হিমশিম খেতে হয় কর্মচারীদের। কারখানাজুড়ে মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিসে।

ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খরব পেয়ে আমরা দ্রুত সেখানে যাই। আমাদের ট্যাংকের পানি শেষ হয়ে যাওয়ায় এবং কারখানার ভেতরে কোনো রকম পানির উৎস না থাকায় প্রয়োজনীয় পানির অভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে চরম বেগ পেতে হয়। দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেল কারখানায় আগুন নির্বাপণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকা অকল্পনীয়।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই শপের কয়েকজন কর্মচারী জানান, পাওয়ার কারে জ্বালানি তেলের প্রলেপ থাকায় ওয়েল্ডিংয়ের স্পার্কে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ক্যারেজ শপের ইনচার্জ দিলশাদ করিম আবু হেনার কাছে অগ্নিকাণ্ড থেকে প্রতিরক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মুহম্মদ কুদরত-ই খুদা বলেন, ‘কারখানায় যেহেতু ওয়েল্ডিংয়ের কাজ হয়, তা থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটা স্বাভাবিক। তবে আমাদের প্রস্তুতি ছিল বলে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি।’