নির্বাচনে না গেলে না যান, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে: কাদের

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি চায় জাতীয়তাবাদী বিচার বিভাগ। তাঁরা চান জয়ের নিশ্চয়তা দেবে, এমন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে হারলে বলে মানি না, মানব না। এখন বিএনপি মানি না, মানব না দলে পরিণত হয়ে গেছে।’

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে এক আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে যুবলীগ আলোচনা সভাটির আয়োজন করে।

দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকেই সুন্দর সুন্দর কথা বলেন, পরামর্শ দেন। তাঁরা বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার কোনো উদ্যোগ সরকার নিয়েছে কি না। বিএনপি না এলে তাঁরাও নির্বাচনে যাবে না। কাদের আরও বলেন, বিএনপি না এলেও গণতন্ত্রের অভিযাত্রা অব্যাহত থাকবে। নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য থেমে থাকবে না। বিএনপিকে উদ্দেশ করে কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে না গেলে না যান, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।’

সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, ঈদ সামনে রেখে সড়ক সংস্কারের নামে সরকার-সমর্থকেরা লুটপাট করছে। এ অভিযোগের বিষয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ধরিয়ে দিন, কোথায় সরকার-সমর্থকেরা আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কার করব না? ধরিয়ে দিন, কোথায় সরকার-সমর্থকেরা আছে। সাত বছর ধরে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছি। যুবলীগের কর্মী, ছাত্রলীগের কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী সচিবালয়ের বারান্দায় কখনো দেখিনি।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, কাজের জন্য আওয়ামী লীগের কর্মীরা আসে না। কিন্তু বিএনপির আমলে তাদের নেতা-কর্মীদের জন্য সড়কে, স্থানীয় সরকারের বারান্দা দিয়ে প্রবেশ করা যেত না বলেও দাবি করেন তিনি।

নেতা-কর্মীরা অভাবে আছেন দাবি করে মন্ত্রী কাদের বলেন, ‘আমরা একটি নিয়মে চলি। আমাদের অনেক নেতা-কর্মীরা অভাবে আছেন, তাঁদের কোনো সুবিধা দিতে পারছি না।’ তিনি আরও বলেন, তারপরও এই অপবাদ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দিলে কেউ গ্রহণ করবে না। এটি বিএনপির অভ্যাস। বিএনপি এসব অনিয়ম করার জন্য আবারও ক্ষমতায় যেতে চায়।

সরকার বাধা না দিলে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে এক সপ্তাহের মধ্যে কারাগার থেকে বের করা হবে বলে বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে বের করবে? করুক। জনগণ তো তাদের ডাকে মাঠে নামে না। নয় বছরে পারে না, এখন এক সপ্তাহে পারবে? এখন আর মানুষ আন্দোলনের দিকে নেই, সবাই নির্বাচনমুখী।’


আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসকে জনগণের ক্ষমতায়ন দিবস হিসেবে ঘোষণা করা উচিত। তিনি বলেন, এই দিনটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে না ফিরলে এ দেশের জনগণের ক্ষমতায়ন হতো না। এই দিবসকে জনগণের ক্ষমতায়ন দিবস হিসেবে ঘোষণা চাই।’

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদের সঞ্চালনায় মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান, দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।