ক্রেতা সেজে রেলের টিকিট কালোবাজারিকে ধরলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক

দিনাজপুরে রেলের টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে দণ্ডিত সালাম সরকার। ছবি: সংগৃহীত
দিনাজপুরে রেলের টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে দণ্ডিত সালাম সরকার। ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুর রেলস্টেশনের এক টিকিট কালোবাজারিকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার ক্রেতা সেজে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) মো. নুরুজ্জামান হাতেনাতে ওই ব্যক্তিকে আটক করেন। পাশাপাশি তাঁকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

দণ্ডিত ব্যক্তির নাম সালাম সরকার। তিনি রেলস্টেশনে মুঠোফোন রবির অনলাইন টিকিট এজেন্ট ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি টিকিটের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ২০০ টাকা বেশি নিয়েছেন। কালোবাজারির অভিযোগে দণ্ডিত সালামসহ কালাম নামের আরও একজনের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়।

মো. নুরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বহুদিন থেকে দিনাজপুর স্টেশনে কর্মরত রেলের কিছু অসাধু ব্যক্তি এবং মুঠোফোন রবির অনলাইন টিকিট বিক্রেতা পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল। অভিযোগের সূত্রধরে রেলস্টেশনের মনির স্টোরে গিয়ে সালামের কাছে নিজেই ক্রেতা সেজে ঢাকার একটি টিকিট কিনি। টিকিটের দাম ৮৯২ টাকা হলেও আমার কাছে নেওয়া হয় ১ হাজার ৯২ টাকা।’ তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সালাম সরকারকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আফতাবুজ্জামান আল ইমরান। এ ছাড়া কালাম নামের আরেক টিকিট কালোবাজারির দোকান সিলগালা করা হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফতাবুজ্জামান আল ইমরান বলেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি একই অপরাধে সালাম সরকারকে তিন দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

এডিসি মো. নুরুজ্জামান আরও বলেন, মুঠোফোনের মাধ্যমে রবির অনলাইনে টিকিট কিনলে ফি বাবদ অতিরিক্ত ২০ টাকা নেওয়ার কথা। কিন্তু রবির অনলাইন টিকিট বিক্রির পাঁচজন এজেন্ট এ রেলস্টেশনের তিনজন কর্মকর্তার সহযোগিতায় অতিরিক্ত সিম ব্যবহার করে দিনাজপুরসহ পার্শ্ববর্তী স্টেশনগুলোর প্রায় সব টিকিট কিনে রাখত। ফলে সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ত। এ ঘটনায় রেলের ওই তিন কর্মকর্তাকে সতর্ক করা হয়েছে।

এদিকে এডিসি নুরুজ্জামান মুঠোফোন কোম্পানি রবির সঙ্গে যোগযোগ করলে কর্মকর্তারা জানান, টিকিট কালোবাজারিরা রবির কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখানোর ফলে তাঁরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি।