সরকার মাদকের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে, অভিযোগ মোশাররফের

খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ফাইল ছবি
খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ফাইল ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সারা বাংলাদেশ যাকে ‘মাদকসম্রাট’ বলে জানে, যে রাস্তা এবং বর্ডার দিয়ে দেশে মাদক সবচেয়ে বেশি প্রবেশ করে, প্রথমে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ আহ্বান জানান। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, বাংলাদেশের কোনো কারখানায় ইয়াবা ও ফেনসিডিল তৈরি হয় না। এগুলো দেশের বাইরে থেকে আসে। সরকার আন্তরিক হলে সীমানা পার হয়ে বাংলাদেশে এসব মাদক আসত না।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার এর আগে জঙ্গি নির্মূলের নামে বিরোধী কণ্ঠকে স্তব্ধ করার জন্য কিছু কর্মকাণ্ড করেছিল। আজও মাদকের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশে কি কোনো আইন নেই? যদি কেউ মাদক ব্যবসায়ী বা মাদকসেবী হয়, যেকোনো অন্যায়কারী হয়—তাহলে দেশে বিচারের ব্যবস্থা আছে, আইন আছে। সংবিধান আছে। সেদিকে খেয়াল করছে না সরকার।

খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, ‘যদি তারা অপরাধী হয়, গ্রেপ্তার করে তাদের বিচার করা হোক। আমরা এর বিচার চাই। তবে কোনো সভ্য দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হতে পারে না।’

সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের সাংসদ থেকে শুরু করে বড় বড় ব্যবসায়ী, এমনকি উপজেলা পর্যায়ের নেতারাও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। মাদকসম্রাটের আশপাশের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, বিএনপি নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জয়নাল আবেদীন প্রমুখ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।