স্বপ্নের প্রতিবাদ

গুলশান-১-এ স্বপ্ন আউটলেটে সোমবার প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পণ্য সরবরাহকারীরা গণমাধ্যমের উদ্দেশে প্রতিক্রিয়া জানান। ছবি: সংগৃহীত
গুলশান-১-এ স্বপ্ন আউটলেটে সোমবার প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পণ্য সরবরাহকারীরা গণমাধ্যমের উদ্দেশে প্রতিক্রিয়া জানান। ছবি: সংগৃহীত

সুপারশপ স্বপ্ন-এর বনানী আউটলেটে ২০ মে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের বিপরীতে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, এ ব্যাপারে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। স্বপ্ন বলেছে, তারা জেনে-শুনে কখনো কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে না।

রাজধানীর গুলশান-১-এ স্বপ্ন আউটলেটে গত সোমবার বিকেলে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পণ্য সরবরাহকারীরা গণমাধ্যমের উদ্দেশে তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানান।

গত রোববারের অভিযান সম্পর্কে স্বপ্নের পক্ষ থেকে বলা হয়, যে পণ্যকে মেয়াদোত্তীর্ণ বলা হচ্ছে, তা দোকানের পেছন অংশে ‘Damaged & Expired, Not for Sale’ লিখে আলাদা করে চিলারে রাখা ছিল।

স্বপ্ন জানায়, পণ্য মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেলে বা পচে গেলে তা সুপারস্টোরের ব্যাক অফিসে ক্রেতাদের দৃষ্টির বাইরে চিলারে রাখা হয়। এই পণ্য পরবর্তী সময়ে ধ্বংস করে ফেলা হয়। এসব পণ্য কখনোই আর সামনে আসে না।

স্বপ্ন কর্তৃপক্ষ বলেছে, যেসব কোমল পানীয়র কথা বলা হয়েছে, তা সরাসরি প্রস্তুতকারক বা সরকার অনুমোদিত আমদানিকারক থেকে স্বপ্নে আসে। এ ব্যাপারে যেকোনো সময় যে-কারও কাছে স্বপ্ন চাওয়া মাত্র প্রমাণ দিতে পারে।

স্বপ্ন জানায়, অন্যান্য সুপারশপের মতো স্বপ্নও বিভিন্ন রকমের গরুর মাংস বিক্রি করে। ৫৫০ টাকা দামের যে গরুর মাংসের কথা বলা হয়েছে, তা প্রিমিয়ার কোয়ালিটির। হাড়সহ গরুর মাংস সরকার থেকে নির্ধারিত দামেই বিক্রি করা হচ্ছে।

স্বপ্ন মনে করে, এ ধরনের কার্যক্রম তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া না হলে স্বপ্ন তার কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে। বিজ্ঞপ্তি