তুচ্ছ ঘটনা থেকে বিরোধে খুন করা হয় তাহিদুলকে

বুথের নিরাপত্তাকর্মী তাহিদুল হত্যার ঘটনায় রাসেলকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ছবি: সংগৃহীত
বুথের নিরাপত্তাকর্মী তাহিদুল হত্যার ঘটনায় রাসেলকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ছবি: সংগৃহীত

ঝগড়ার কারণটা বলা যায় একরকম তুচ্ছই ছিল। বাগেরহাট পিসি কলেজের পাশের নদীতে গত বছরের জুলাই মাসে নৌকাবাইচ দেখতে যাওয়ার পথে রাসেলের সাইকেল তাহিদুলের গায়ে লাগে। এটুকু নিয়েই দ্বন্দ্ব। নৌকাবাইচ শেষে ফেরার পথে তাহিদুল ও তাঁর বন্ধুরা মিলে মারধর করেন রাসেলকে। বেশ আঘাত পান তিনি। আর সেই ক্ষোভ নিয়েই গত সোমবার রাতে ঢাকার সেনানিবাসের এটিএম বুথে তাহিদুলকে খুন করেন রাসেল। 

আজ বুধবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান র‍্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মনজুর মেহেদী ইসলাম। তিনি জানান, রাসেলকে গ্রেপ্তারের পরই হত্যার কারণ সম্পর্কে জানা যায়। গতকাল মঙ্গলবার খুলনার সোনাডাঙ্গা থেকে রাসেলকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

নিহত তাহিদুল ইসলাম ওরফে নূরুন্নবী (২০) ওই এটিএম বুথে নিরাপত্তাকর্মীর দায়িত্বে ছিলেন। রাসেল শেখ ওরফে নয়ন (১৯) আইকন ফর সিকিউরিটি সার্ভিস নামের একটি সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। তিনি মূলত ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার লাগিয়ে লোক সংগ্রহ করেন।

মনজুর মেহেদী ইসলাম বলেন, গত রোববার দিবাগত রাতে রাসেল তাঁর প্রতিষ্ঠানের পোস্টার লাগানোর জন্য ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন কচুক্ষেত এলাকায় আসেন। সেখানে ইবিএল এটিএম বুথের কাছে এসে তাহিদুলের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। পুরোনো বিরোধের বিষয়ে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু করেন তাঁরা। বুথের ভেতরে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে রাসেল সেখানে থাকা একটি ছুরি তাহিদুলের গলায় চালিয়ে দিলে ঘটনাস্থলেই তাহিদুলের মৃত্যু হয়। হত্যার পর রাসেল সেখান থেকে গুলশানের শাহজাদপুরে তাঁর কর্মস্থলে যান। পোশাক বদলে গাবতলী থেকে খুলনায় রওনা করেন।

সোমবার সকালে ঢাকা সেনানিবাস পোস্ট অফিসসংলগ্ন ইবিএলের এটিএম বুথের ভেতর থেকে তাহিদুল ইসলামের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ভল্টের উপরিভাগের একটি অংশ খোলা থাকলেও সেখান থেকে কোনো টাকা লুট হয়নি বলে জানায় পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত তাহিদুলের বাবা আবু বকর সিদ্দিক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।