প্রধানমন্ত্রী বললেন, শিগগিরই প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল নাতালিয়া ক্যানেম। ঢাকা, ২৩ মে। ছবি: ফোকাস বাংলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল নাতালিয়া ক্যানেম। ঢাকা, ২৩ মে। ছবি: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিতে সরকারের সব পদক্ষেপের প্রতি স্থানীয় জনগণ সর্বাত্মক সমর্থন দিচ্ছে। তিনি বলেন, শিগগিরই প্রায় এক লাখ শরণার্থীকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত করা হবে।

জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং ইউএনএফপিএর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর নাতালিয়া ক্যানেম বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী ইউএনএফপিএ কর্মকর্তাকে জানান, তাঁর সরকার বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আশ্রয় দিয়েছে। কারণ, বাংলাদেশের জনগণেরও এ ধরনের শরণার্থী হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, বৈঠকে তাঁরা বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়, বিশেষ করে নারী উন্নয়ন এবং মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আলোচনা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার যদিও তাদের অবস্থানকে স্বস্তিদায়ক করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, তথাপি রোহিঙ্গারা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খুবই অমানবিকভাবে অবস্থান করছে। তিনি বলেন, প্রতিদিন অন্তত ৬০টি শিশুর সেখানে জন্ম হচ্ছে এবং বর্ষার কারণে তাদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিগগিরই প্রায় এক লাখ শরণার্থীকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত করা হবে, যেখানে তারা বসবাসের জন্য আরেকটু ভালো পরিবেশ পাবে।
নাতালিয়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদান করায় এবং নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অসামান্য সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি এ সময় জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন।
প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় তাঁর সরকারের অগ্রাধিকার তৃণমূল থেকে উন্নয়ন বলেও উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার খাদ্যনিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যেতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী এবং মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।