কোটা আন্দোলনের নেতাকে পেটাল দুর্বৃত্তরা, আহত হয়ে হাসপাতালে

এ পি এম সুহেলকে বুধবার বিকেলে পিটিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। ছবি: সংগৃহীত
এ পি এম সুহেলকে বুধবার বিকেলে পিটিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। ছবি: সংগৃহীত

কোটা নিয়ে আন্দোলনের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক এ পি এম সুহেলকে পিটিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে ধূপখোলার আসগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।

সুহেল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র। কোটা সংস্কারের আন্দোলনে নেতৃত্বের পাশাপাশি তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসির উদ্দিন আহমেদকে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদ আন্দোলনেও সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন।

গুরুতর আহত অবস্থায় এ পি এম সুহেলকে প্রথমে ধূপখোলার আসগর আলী হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত
গুরুতর আহত অবস্থায় এ পি এম সুহেলকে প্রথমে ধূপখোলার আসগর আলী হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান প্রথম আলোকে বলেন, পরীক্ষা শেষে বেলা তিনটার দিকে সুহেল ভিক্টোরিয়া পার্কের কাছে গেলে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল তাঁর পথ রোধ করে বাংলাবাজার সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের পাশে থাকা সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের সামনে নিয়ে আসে। সেখানে তাঁকে এলোপাতাড়ি মেরে ফেলে রাখে যায়। এতে তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়।

কে হামলা করেছে—জানতে চাইলে রাশেদ খান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা এক হামলাকারীর নাম জেনেছি। তার নাম বাবু। তিনি মনোবিজ্ঞান বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।’

এ পি এম সুহেল বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছবি: সংগৃহীত
এ পি এম সুহেল বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছবি: সংগৃহীত

সুহেলকে হামলার প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসূচি পালানের কথা জানিয়ে রাশেদ খান বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে সেখানে যাচ্ছি। সুহেলকে হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হবে।’

সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সুহেলকে হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে বলা যাবে, তাঁর ওপর কে হামলা করেছে।’