সড়ক দুর্ঘটনার নামে হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে: আরেফিন সিদ্দিক

মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ অন্যরা। ছবি: সংগৃহীত
মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ অন্যরা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, প্রতিনিয়ত সড়কে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। একটুখানি অসাবধানতায় ঝরে যাচ্ছে শত শত তাজা প্রাণ। নিঃস্ব হচ্ছে শত শত পরিবার। সড়ক দুর্ঘটনার নামে এসব হত্যাকাণ্ড এখনই বন্ধ করতে হবে।

সড়কে রক্তপাত ও প্রাণহানি বন্ধের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘দীপ্ত স্লোগান’ নামের একটি সংগঠন মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এ আহ্বান জানান।

আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সড়কে রক্তপাত এবং প্রাণহানি বন্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে; পাশাপাশি পথচারী এবং যাত্রীদেরও ট্রাফিক আইন মেনে সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করতে হবে।

মানববন্ধনে ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের আহ্বায়ক সাখাওয়াত আল আমিন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ঈদের আগে মহাসড়কগুলো চলাচল উপযোগী করা, ঈদ সার্ভিস চালুর আগে পরিবহন কোম্পানিগুলোর চালক এবং সহকারীদের সড়ক নিরাপত্তা এবং ট্রাফিক আইন বিষয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া, ফিটনেসবিহীন যানবাহনগুলো মহাসড়কে চলতে না দেওয়া।

এ ছাড়া সংগঠনের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে উল্টো পথে চলাচলকারীদের শাস্তির আওতায় আনা, ফুটওভারব্রিজ এবং আন্ডারপাসগুলো প্রয়োজনীয় মেরামত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে চলাচলের উপযোগী করে তোলা, জনসাধারণকে তা ব্যবহারে উৎসাহী ও বাধ্য করা, রাতে চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সড়কবাতি মেরামত ও স্থাপন। পথচারীদের চলাচলের সুবিধার্থে ফুটপাতগুলো দখলমুক্ত করা, গণপরিবহনে নারীদের যৌন হয়রানি বন্ধ করা এবং নিপীড়নকারীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানায় সংগঠনটি। এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করার দাবিও জানানো হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক জুয়েল মিয়াসহ রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেয়।