ফরিদপুরের মধুখালীতে তিন দিনের ব্যবধানে পাওয়া গেছে দুটি মেছো বাঘ

ফরিদপুরের মধুখালীতে তিন দিনের ব্যবধানে মেছো বাঘের দুটি শাবক আটক করে এলাকাবাসী। এর মধ্যে একটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বাগাট ইউনিয়নের মিটাইন গ্রাম থেকে মেছোবাঘের একটি শাবক আটক করা হয়। গত মঙ্গলবার ভোরে অন্য শাবকটি একই এলাকায় ধরা পড়েছিল।

মধুখালী বন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়নের মিটাইন গ্রামের গোলাম মোস্তফার বাড়ির পুকুরপাড় থেকে এলাকাবাসী একটি মেছো বাঘের শাবক আটক করে। আটকের সময় মেছো বাঘটি সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে সেটি খাঁচায় ভরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার ভোরে একই ইউনিয়নের ঘোপঘাট গ্রামের দক্ষিণপাড়া এলাকার আবদুর রহমান শেখের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে আরেকটি মেছো বাঘ আটক করে এলাকাবাসী। এলাকাবাসী পিটিয়ে শাবকটিকে মেরে ফেলে।

ফরিদপুরের ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দীন বলেন, আটক শাবকটিকে সুস্থ করে গড়াই নদীর নির্জন চর এলাকায় অবমুক্ত করা হবে। মৃত শাবকটির ময়নাতদন্ত করে মাটিচাপা দেওয়া হবে।

ফরিদপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, এ প্রাণীকে মেছো বাঘ বা মেছো বিড়াল নামে ডাকা হয়। ফরিদপুর জেলায় প্রায়ই মেছো বাঘ দেখা যায়। মানুষ বা গরু ছাগলের জন্য এ প্রাণী ক্ষতিকর নয়। সাপ, মাছ ও হাঁস মেছো বাঘের মূল খাবার। লোকালয়ের আশপাশের এলাকায় এর বিচরণ। জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্যের জন্য মেছো বাঘ গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ প্রাণীকে এলাকাবাসী যাতে না মারে, সে বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য বন বিভাগের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে।