বিরোধ মেটানোর নাম করে আটকে রাখার অভিযোগ

মিরপুর
মিরপুর

সম্পত্তি নিয়ে ছেলের বউয়ের সঙ্গে আগে থেকেই বিরোধ ছিল। তা মেটানোর নাম করে মিরপুর মডেল থানার পুলিশ ৭০ বছরের বৃদ্ধা শাশুড়ি, পাঁচ নারী ও এক কিশোরসহ আটজনকে তুলে এনে থানায় আটকে রেখেছে। আটক করা ব্যক্তিদের এক স্বজন এই অভিযোগ করেন। পুলিশ বলছে, মিটমাট করার জন্যই তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। যদিও রাত ২টার পরেও মিটমাটের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

থানা থেকে ফোন করে আটক করা ব্যক্তিদের এক স্বজন প্রথম আলোকে বলেন, সহায়সম্পত্তি নিয়ে ফিরোজা বেগমের (৭০) সঙ্গে তাঁর জার্মানি প্রবাসী ছোট ছেলের স্ত্রী রহিমা বেগমের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জেরে বুধবার শাশুড়ি ফিরোজা বেগমকে মারধর করেন রহিমা বেগম। বুধবার রাতেই ফিরোজা বেগমের পক্ষ থেকে মিরপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় পুলিশ ফিরোজা বেগমের ১৫১/৩ দক্ষিণ পীরেরবাগের বাসায় গিয়ে পুলিশ পরিবারের সব সদস্যকে তুলে আনে।

আটককরা ব্যক্তিদের অভিযোগ, রহিমা বেগমের পক্ষে তাঁর ভাই দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি জেলার পুলিশ সুপার কাজ করছেন।

এ বিষয়ে রহিমা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিনি দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা পর্যন্ত তাঁদের থানা থেকে ছাড়া হয়নি। রহিমা বেগমের পক্ষের কেউ থানায় আসেননি।