নির্বাচনে ১৪ পদের ১২টি পেয়েছে আ.লীগপন্থীরা

দেশের আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক ও তদারক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচনে এবারও নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা। মোট ১৪ পদের বিপরীতে এবারের নির্বাচনে সাধারণ সাতটি আসনের মধ্যে ছয়টি এবং গ্রুপভিত্তিক সাতটির মধ্যে ছয়টিসহ ১২টি পদে জয়ী হয়েছে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ মনোনীত প্রার্থীরা। আর সাধারণ একটি ও গ্রুপভিত্তিক একটিসহ দুটি আসন পেয়েছে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

এর আগে ১৪ মে বার কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণের শেষ সব কেন্দ্রের ফলাফল বার কাউন্সিলে পৌঁছে। এরপর শনিবার সকাল থেকে বার কাউন্সিলের সভাকক্ষে ভোট গণনা শুরু হয়। গণনা শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

সাধারণ সাত আসনের মধ্যে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ (সাদা প্যানেল হিসেবে পরিচিত) থেকে ছয়জন নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা হলেন- আবদুল বাসেত মজুমদার, শ ম রেজাউল করিম, জেড আই খান পান্না, সৈয়দ রেজাউর রহমান, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বাদল। সাধারণ আসনে বিএনপির সমর্থক জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল (নীল প্যানেল হিসেবে পরিচিত) থেকে এ জে মোহাম্মদ আলী নির্বাচিত হয়েছেন।

গ্রুপভিত্তিক সাতটি আসনের মধ্যে সাদা প্যানেল ছয়টিতে জয়ী হয়েছে। জয়ীরা হলেন— কাজী মো. নজিবুল্লাহ হিরু (গ্রুপ-এ), মো. কবীর উদ্দিন ভূঁইয়া (গ্রুপ-বি), এ এফ মো. রুহুল আনাম চৌধুরী (গ্রুড-ডি), পারভেজ আলম খান (গ্রুপ-ই), মো. ইয়াহিয়া (গ্রুপ-এফ) এবং মো. রেজাউল করিম মন্টু (গ্রুপ-জি)। গ্রুপভিত্তিক আসনে শুধু বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত আইনজীবী সমিতিতে (গ্রুপ-সি) নীল প্যানেল প্যানেল থেকে মো. দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন।

সর্বশেষ ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত বার কাউন্সিল নির্বাচনে ১৪টি আসনের মধ্যে সাদা প্যানেল পায় ১১ টি, আর নীল প্যানেল পায় তিনটি আসন। এর আগে ২০১২ সালে ১৪ টির মধ্যে নীল প্যানেল ৯টি আসনে জয় পায়, অপর পাঁচটি আসন পায় সাদা প্যানেলের মনোনীত প্রার্থীরা।

তিন বছর পরপর বার কাউন্সিল নির্বাচন হয়ে থাকে। সারা দেশের আইনজীবীরা মোট ১৪ জন সদস্য নির্বাচিত করেন। এর মধ্যে সাধারণ আসনে সাতজন এবং সাতটি অঞ্চল ভিত্তিক আইনজীবী সমিতির সদস্যদের মধ্য থেকে একজন করে আরও সাতজন নির্বাচিত হয়ে থাকেন। সরাসরি ভোটে নির্বাচিত ১৪ জন সদস্যের ভোটে নির্বাচিত হন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান। অ্যাটর্নি জেনারেল পদাধিকার বলে কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।