কুমিল্লা ও নড়াইলে করা মামলার শুনানি শেষ, আদেশ কাল

খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

নাশকতার অভিযোগে কুমিল্লায় করা দুই মামলায় ও মানহানির অভিযোগে নড়াইলে করা এক মামলায় জামিন চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা তিন আবেদনের ওপর কাল সোমবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের এ দিন ধার্য করেন। 

খালেদার আইনজীবীরা জানান, নাশকতার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও বাস পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় করা দুটি মামলায় এবং মানহানির অভিযোগে নড়াইলে করা এক মামলায় ২০ মে জামিন চেয়ে খালেদা জিয়া আবেদন করেন। এর মধ্যে বাস পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় জামিন আবেদনের ওপর গত বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনে শুনানি শেষ হয়। এরপর আজ অপর দুটি আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী ও মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও মো. বশির উল্লাহ। শুনানি শেষে মো. বশির উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেছেন, আগে একটি ও আজ দুটি জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। তিন আবেদনের ওপর কাল সোমবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন চেয়ে হাইকোর্ট জামিন পান খালেদা জিয়া। হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখে ১৬ মে রায় দেন আপিল বিভাগ। সেদিন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মওদুদ আহমদ বলেছিলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের মুক্তিতে কিছুটা বাধা আছে। তিনি এই মুহূর্তে মুক্তি পাবেন না, কারণ নিম্ন আদালতে থাকা কয়েকটি মামলায় তাঁকে আসামি দেখানো হয়েছে। এরপর পৃথক পাঁচ মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া, যার মধ্যে আজ তিন মামলায় জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়।