অনেক সহ্য করেছি, আর না: বি. চৌধুরী

এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। প্রথম আলো ফাইল ছবি
এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। প্রথম আলো ফাইল ছবি

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী (বি. চৌধুরী) বলেছেন, ‘অনেক সহ্য করেছি, আর না।’ ভবিষ্যতে যারা ক্ষমতায় আসতে চায়, তাদের বুঝেশুনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘হাজার হাজার মানুষ জেলের ভেতরে আছে। এগুলো কত দিন চলবে। মানুষ জেগে উঠেছে। এই জাগরণের সঙ্গে আমরা থাকব।’

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে নাগরিক ঐক্যের ইফতার অনুষ্ঠানে বি. চৌধুরী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না তাঁর বক্তৃতায় মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে যাঁদের মেরে ফেলা হয়েছে, তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি প্রশ্ন তোলেন, প্রমাণ ছাড়া যদি বদিকে (আওয়ামী লীগের সাংসদ আবদুর রহমান বদি) ধরা না যায়, তাহলে প্রমাণ ছাড়া ৬৪টা লোককে কীভাবে হত্যা করা হলো। তিনি বলেন, দিন আসবে, কাউকে ছাড়া হবে না। সব অন্যায়ের জবাবদিহি করতে হবে।

ইফতারে অংশ নেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আসিফ নজরুল প্রমুখ।

গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, গণতন্ত্র যেভাবে লুট হয়েছে, মানুষের অধিকার যেভাবে হরণ করা হয়েছে, এ পরিস্থিতিতে কেউ নিরাপদ নয়। যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, সেটি কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়। এটি দেশ ও সমগ্র জাতির সংকট। যতক্ষণ পর্যন্ত না লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) তৈরি হচ্ছে, যতক্ষণ না নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনে না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত দেশে কোনো অর্থবহ নির্বাচন হবে না। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া নির্বাচনের চিন্তা সঠিক হবে না।
স্বৈরাচারী আচরণের একটা সীমা আছে উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে আ স ম আবদুর রব বলেন, স্বাধীনতার পর এই ধরনের অপশাসন আর দেখেননি তিনি।