রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় বলছে কমিটি

পেঁয়াজ, ছোলা, ডাল, তেল, চিনিসহ রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে আছে বলে সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কমিটিও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে। পুরো রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (টিসিবি) সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি।

আজ সোমবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বৈঠকে জানায় ৫ মে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ২৫-৩২ টাকা, বিদেশি পেঁয়াজ ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর ২৬ মে দেশি পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা এবং বিদেশি পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, গতকাল আরও কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে।

বৈঠকে জানানো হয়, সাধারণ মানের খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১২০-৩০০ টাকায়। ৫ মে মানভেদে ছোলা বিক্রি হয়েছিল প্রতি কেজি ৮৫-৯০ টাকায়, ২৬ মে বিক্রি হয়েছে ৬৫-৮০ টাকায়। ৫ মে মসুর ডালের দাম ছিল ৭৫-১৩৫ টাকা, ২৬ মে বিক্রি হয়েছে ৫৫-১১০ টাকায়। প্রতি কেজি চিনির দাম ৫ মে ছিল ৬৫-৭০ টাকা, ২৬ মে দাম কমে বিক্রি হয়েছে ৫৫-৬০ টাকা। তবে সয়াবিন তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে। ৫ মে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ৮২-৮৪ টাকা আর বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হয়েছে ১০০-১০৬ টাকায়, ২৬ মে খোলা সয়াবিন ৮৫-৮৮ এবং বোতলজাত সয়াবিন ১০৪-১০৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে একজন সদস্য নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের প্রচারকে দায়ী করেন।

কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। গণমাধ্যমকে দাম বাড়ার জন্য দায়ী করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, গণমাধ্যমকে দোষারোপ করা হয়নি। তবে কিছু কিছু মিডিয়া অনেক সময় বাড়তি প্রচার করে। তাঁরা চান সঠিক তথ্যটা যেন গণমাধ্যম প্রচার করে।

তাজুল ইসলাম বলেন, বৈঠকে রড-সিমেন্টের দাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দাম সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। উত্তরাঞ্চলে যেসব চা–বাগান রয়েছে, সেখানকার কৃষকদের লাভবান করতে স্থানীয় পর্যায়ে চায়ের বাজার তৈরি করতে পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, মোতাহার হোসেন, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, এনামুল হক, মো. ছানোয়ার হোসেন, লায়লা আরজুমান বানু ও মোহাম্মদ হাছান ইমাম খান বৈঠকে অংশ নেন।