শ্রীবরদীতে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন

শেরপুর
শেরপুর

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় মাকে হত্যার দায়ে এক ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। মাদক কেনার জন্য টাকা না পেয়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করে মাকে হত্যা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম মো. আবু বকর (৩২)। তিনি শ্রীবরদীর পূর্ব গিলাগাছা গ্রামের শাহা আলীর ছেলে। আদালত একই সঙ্গে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

শেরপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ এম এ নূর মঙ্গলবার বিকেলে এ রায় দেন। রায় শেষে আবু বকরকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অরুণ কুমার সিংহ।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত আবু বকর মাদক কিনতে টাকার জন্য প্রায়ই তাঁর মা বানেছা খাতুনকে (৫৫) বিভিন্নভাবে অত্যাচার করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালের ৫ জুন দুপুরে আবু বকর বানেছার কাছে টাকা দাবি করেন। কিন্তু তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বকর বাড়ির উঠোনে নিজের পুরোনো মোটরসাইকেলটি ভাঙতে থাকেন। এ সময় বানেছা বেগম তাঁকে বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বকর তাঁর হাতে থাকা লাঠি দিয়ে তাঁর মা বানেছা বেগমের মাথায় আঘাত করেন। এ সময় ঘটনাস্থলেই বানেছা বেগম মারা যান।

এ ঘটনায় বানেছা বেগমের ছোট ছেলে ওমর আলী (২৯) আবু বকরকে একমাত্র আসামি করে শ্রীবরদী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন আবু বকর।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আবুজর গাফ্ফারী বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। আসামি পরিকল্পিতভাবে আঘাত করেনি।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এপিপি অরুণ কুমার সিংহ রায়। তিনি বলেন, ‘আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি।’