রাজশাহীতে র‍্যাবের হাতে আটক ৫ জেএমবি সদস্য

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্যরা গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে। আজ বুধবার সকালে র‌্যাব-৫-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহাবুবুল আলম রাজশাহী সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

আটক করা পাঁচজন হলেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার জাহানাবাদ গ্রামের খায়রুল ইসলাম (৪৮) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের সেলিম রেজা (২৬), নরেন্দ্রপুর গ্রামের জিয়াউল হক ওরফে আকবর আলী (৩৯), নওশাদ আলী (৫০) এবং গোটাপাড়া গ্রামের সাকিল আহমেদ (৩৫)। তাঁদের কাছ থেকে সাতটি জিহাদি বই, পাঁচটি মুঠোফোন, আটটি সিমকার্ড, দুটি মেমোরি কার্ড, দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র, একটি পাসপোর্ট এবং জিহাদি ছবি ও ভিডিওতে ভরপুর কম্পিউটারের একটি হার্ডডিস্ক জব্দ করা হয়েছে।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ১৪ মে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জে অভিযান চালিয়ে চার জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব গোয়েন্দা অনুসন্ধান চালাতে থাকে। একপর্যায়ে র‌্যাব তথ্য পায়, নাশকতার পরিকল্পনা করতে গতকাল রাতে কয়েকজন জেএমবি সদস্য গোদাগাড়ীতে গোপন বৈঠক করবেন। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে র‌্যাব-৫-এর একটি দল উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে খায়রুল ইসলাম ও সেলিম রেজাকে আটক করে। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্য তিনজনকে তাঁদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা সবাই জেএমবিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। নতুন সদস্য সংগ্রহ এবং ইয়ানতের টাকা আদায় করতেন তাঁরা।

লে. কর্নেল মাহাবুবুল আলম আরও বলেন, আবু সাঈদ নামের এক জেএমবি ক্যাডারের মাধ্যমে আটক পাঁচজন সংগঠনটিতে জড়িয়ে পড়েন। ধীরে ধীরে তাঁরা সক্রিয় কর্মী হিসেবে দায়িত্বশীলদের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নরেন্দ্রপুর এলাকায় দায়িত্বশীল কর্মী হিসেবে নিয়োজিত হয়েছিলেন নওশাদ। তাঁদের সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।