রশিদের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরি নেওয়া, প্রতারণা, জালিয়াতির অভিযোগ

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অঞ্চল-৫ কারওয়ান বাজার এলাকার বর্তমান লাইসেন্স সুপারভাইজার মো. আবদুর রশিদকে আগামী সপ্তাহে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা ছিল।

দুদক সূত্র জানিয়েছে, আবদুর রশিদকে দুদকে হাজির হওয়ার তলবি নোটিশ তিনি হাতে পাননি। তবে নোটিশের বিষয়টি জানতে পরে আজ সকালে তিনি দুদকে হাজির হন। দুদককে তিনি জানিয়েছেন, নোটিশ না পাওয়ায় তিনি প্রয়োজনীয় নথিপত্রও নিতে পারেননি। তাই আজ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ না করে আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ হাজির হলেই তাঁকে ওই দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

২৩ মে দুদকের উপসহকারী পরিচালক ওমর ফারুক আবদুর রশিদকে ৩০ মে দুদকে হাজির হতে নোটিশ পাঠান। নোটিশে আবদুর রশিদকে দুদকে হাজির হওয়ার সময় বেশ কিছু নথিপত্র নিয়ে আসতে বলা হয়। এর মধ্যে রয়েছে তাঁর নিজের নামে এবং নির্ভরশীলদের নামে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের যাবতীয় নথিপত্র, আয়কর নথি ও রিটার্নের রেকর্ড, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের উৎসসংক্রান্ত নথিপত্র এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও মার্কশিটের মূল কপি।

আবদুর রশিদের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরি নেওয়া, প্রতারণা, জালিয়াতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। গত ১৫ এপ্রিল দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ওমর ফারুক ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে আবদুর রশিদের বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগগুলোর সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে মূল রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত কপি চেয়ে চিঠি পাঠান। ওই চিঠিতে আবদুর রশিদের লেজারকিপার পদে চাকরির মূল ব্যক্তিগত নথির নোটশিটসহ সত্যায়িত কপি সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আবদুর রশিদের বিরুদ্ধে চাকরি নেওয়ার সময় কোনো অনিয়ম, অবৈধ সম্পদ অর্জন অথবা চাকরিসংক্রান্ত অন্য কোনো বিষয়ে মন্ত্রণালয় কিংবা সিটি করপোরেশন থেকে কোনো তদন্ত হয়েছে কি না এবং তদন্ত হয়ে থাকলে সেই তদন্ত প্রতিবেদনের সত্যায়িত ছায়ালিপি সরবরাহ করতে বলা হয়।

জানা গেছে, ওই সব তথ্য ও কাগজপত্র অনুসন্ধান কর্মকর্তার হাতে পৌঁছেছে। তবে একটি সূত্র জানায়, বেশ কিছু নথিতে ঘষামাজা ও কাটাকাটি করার চিহ্ন রয়েছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধানের সময় পর্যালোচনা করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।