বিএনপিকে জোর করে নির্বাচনে আনা আমাদের দায়িত্ব না: কাদের

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে এলে স্বাগতম। বিএনপিকে জোরজবরদস্তি করে ইলেকশনে টেনে নিয়ে আসা, সে দায়িত্ব আমাদের না। বিএনপির এটা অধিকার।’

আজ বুধবার ঢাকার মিরপুরে বিভিন্ন মোটর ওয়ার্কশপ পরিদর্শনের সময় বিএনপিকে নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি না এলে নির্বাচন করব না, এটা না। তাদের জোরজবরদস্তি করে ইলেকশনে টেনে নিয়ে আসা, সে দায়িত্ব আমাদের না।’

বিএনপি নেতাদের সম্পর্কে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, শক্তি কমে গেছে বলে বিএনপি নেতারা সরকারের ‘উগ্র’ সমালোচনায় নেমেছেন। মানুষের শক্তি যখন কমে আসে, তখন মুখের বিষটা ততই উগ্র হয়ে আসে। এটা শরৎচন্দ্রের ভাষা। বিএনপির ক্ষেত্রে এটা একেবারেই সত্য। তিনি বলেন, বিএনপি এখন সংকুচিত হচ্ছে নেতিবাচক রাজনীতির কারণে। তাদের মুখের বিষ উগ্র হয়ে উঠছে। তারা আন্দোলন-আন্দোলন করে চিৎকার করে নয় বছরে নয় মিনিটও আন্দোলন করতে পারেনি। সেই সামর্থ্য-শক্তি তাদের নেই।

মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আর চার-পাঁচ মাস বাকি। এর মধ্যে সংবিধান পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। খালেদা জিয়া জেলে থাকলে বিএনপি নির্বাচন করবে কি না, এটা তাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। খালেদা জিয়া জেল থেকে বের হবেন কি না, সেটা আদালতের ব্যাপার। তিনি আরও বলেন, এখানে সরকারের কোনো দায় নেই, সরকারের ওপর বিএনপি দোষ চাপাচ্ছে কেন? বিএনপির জন্য নির্বাচন বসে থাকবে না। সংবিধান অনুযায়ী দেশও চলবে, গণতন্ত্রও চলবে, নির্বাচনও চলবে। বিএনপির জন্য কোনো কিছু আটকে থাকবে না। বিএনপি না এলেও নির্বাচন যথাসময়ে হবে।

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের বিষয়ে বিএনপির দাবির প্রসঙ্গে কাদের বলেন, এগুলো এখন মামাবাড়ির আবদার। এসব এখন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

দুই দিন আগে কূটনীতিকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির নেতাদের বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, যেহেতু বিএনপি বিদেশি কূটনীতিকদের ডেকে নির্বাচন নিয়ে এবং দেশের বিভিন্ন বিষয়, যেমন মাদকবিরোধী অভিযান সম্পর্কে তারা ব্রিফ করেছে; কাজেই আওয়ামী লীগ এবং সরকারের পক্ষ থেকেও কূটনীতিকদের কাছে অবস্থান পরিষ্কার করার বিষয় আছে। তিনি বলেন, ‘যেখানে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অবকাশ আছে, সেখানে বিভ্রান্তি রিমুভ করার জন্য কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলেছি, আলাপ-আলোচনা করেছি।’