গৌরনদীতে জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১০

বরিশাল
বরিশাল

বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।

আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে পৌরসভার টিখাসার এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আবদুল মান্নান খানের বাড়িতে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আবদুল মান্নান খান অভিযোগ করেন, ‘জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. হিমেল মিয়ার নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা একটি মোটরসাইকেলসহ ব্যাপক ভাঙচুর করে। এতে নেতা-কর্মীরা বাড়ির মধ্যে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।’

আবদুল মান্নান খানের অভিযোগ, ছাত্রলীগের হামলায় গৌরনদী উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনির হোসেন হাওলাদার (৪২), পৌর যুবদলের সহসম্পাদক মো. লিটন খান (৩০), উপজেলা যুবদল কর্মী শাহাব উদ্দিন ব্যাপারী (৩৬), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হোসেন (৩২), উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রুবেল গোমস্তা (২৫), মশিউর রহমান (২২), এস এম হীরা (২৫), এনাম তালুকদারসহ (২৩) কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।

আবদুল মান্নানের দাবি করেন, গ্রেপ্তার এড়াতে আহত নেতা-কর্মীদের গোপনে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হোসেনকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে।

ছাত্রলীগ নেতা মো. হিমেল মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘হামলার ঘটনায় আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।’

গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘হামলার ঘটনা সম্পর্কে আমি অবহিত নই। বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার সম্পর্কে ওসি বলেন, আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় করাগারে পাঠানো হয়েছে।