কিশোরগঞ্জে চার বছরের শিশু ধর্ষণ-হত্যার দায়ে তরুণের মৃত্যুদণ্ড

কিশোরগঞ্জে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে এক তরুণকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কিরণ শংকর হালদার এ রায় দেন।

দণ্ডিত তরুণের নাম শাহ আলম (২২)। পাশাপাশি শিশুটিকে অপহরণের দায়ে শাহ আলমকে আরও ১৪ বছরের কারাদণ্ড এবং ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

হত্যার শিকার ওই শিশুর নাম আফরোজা। সে কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটালের মুন্সিবাড়ি এলাকার ইজিবাইকচালক নয়ন মিয়ার মেয়ে। ২০১৪ সালের ১৬ মে দিবাগত রাত ১১টার পর ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ওই ঘটনা ঘটে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ঘটনার দিন রাত ১১টার দিকে ঘরের দরজা খোলা রেখে পার্শ্ববর্তী টিউবওয়েলে হাত-মুখ ধুতে বাইরে যান আফরোজার বাবা নয়ন মিয়া। এ সময় ঘরে দুই মেয়ে মীম ও আফরোজাকে নিয়ে শুয়েছিলেন নয়নের স্ত্রী শারমিন আক্তার। দরজা খোলা থাকার সুযোগে পার্শ্ববর্তী নয়াপাড়া এলাকার বখাটে শাহ আলম ঘরে ঢুকে পড়েন এবং বিছানায় মায়ের পাশে ঘুমিয়ে থাকে আফরোজাকে তুলে বাগানে নিয়ে যান। এরপর শাহ আলম শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যান।

মামলার বিবরণে বলা হয়, নয়ন মিয়া ঘরে ফিরে আফরোজাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এ সময় পাশের একটি বহুতল ভবনের নৈশপ্রহরী নয়নকে জানান, তিনি শাহ আলমকে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় এখান দিয়ে দৌড়ে যেতে দেখেছেন। পরে বাগানের একটি জায়গায় ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় আফরোজাকে পড়ে থাকতে দেখেন নয়ন।

এ ঘটনার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পরে ভোর সাড়ে চারটার দিকে শহরতলির কাসুরারচর এলাকা থেকে শাহ আলমকে আটক করেছিল পুলিশ। পরের দিন নয়ন মিয়া শাহ আলমকে একমাত্র আসামি করে সদর মডেল থানায় মামলা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এম এ আফজল এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আসামি শাহ আলমের উপস্থিতিতে এ রায় দেওয়া হয়েছে।’