৩৮ আসামির যুক্তিতর্ক শেষ, বাকি ছয়জন

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা। ফাইল ছবি
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা। ফাইল ছবি

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসংক্রান্ত হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় সাইফুল ইসলাম ডিউকের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আগামী ৫ ও ৬ জুন বাকি ছয় আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন এই দিন ধার্য করেন।

সাইফুল ইসলাম ডিউকের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন আইনজীবী আবদুর রেজাক খান। তিনি আসামি সাইফুল ইসলামকে নির্দোষ দাবি করে তাঁর খালাস চান। আবদুর রেজাক খান যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে আদালতকে বলেন, এই মামলায় সাইফুল ইসলাম ডিউকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা শোনা সাক্ষীর ভিত্তিতে। বস্তুগত কোনো সাক্ষী নেই। মামলার এজাহারের কোথাও সাইফুল ইসলাম ডিউকের নাম নেই। প্রথম অভিযোগপত্রেও এই আসামির নাম নেই। জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানের জবানবন্দির ভিত্তিতে তাঁকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।

রেজাক খান বলেন, মুফতি হান্নান যে জবানবন্দি দিয়েছেন, তা আইনের দৃষ্টিতে অচল। সাইফুল ইসলাম ডিউক একজন সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে পলাতক আসামি মাওলানা তাজউদ্দিনকে বাদল পরিচয়ে পাসপোর্ট তৈরি করে পাকিস্তানে পাঠানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। তা সঠিক নয়। মাওলানা তাজউদ্দিনের বাদল নামে যে পাসপোর্ট ইস্যু হয়েছে, তা ২০০১ সালের। তাই রাষ্ট্রপক্ষ সাইফুল ইসলাম ডিউকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সৈয়দ রেজাউর রহমান। তাঁকে সহায়তা করেন আবু আবদুল্লাহ ভূইয়া ও আকরাম উদ্দিন। এখন পর্যন্ত এ মামলায় ৩৮ আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আরও ছয় আসামির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে এরপর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করবেন আদালত।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করা হয়। এই গ্রেনেড হামলায় ২২ জন নিহত হন। আহত হন কয়েক শ লোক। ২০০৮ সালের ১১ জুন এ মামলায় ২২ জনকে আসামি করে সিআইডি প্রথম অভিযোগপত্র দেয়। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ মামলার অধিকতর তদন্ত করে ২০১১ সালের ৩ জুলাই তারেক রহমানসহ আরও ৩০ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। মোট ৫২ আসামির মধ্যে তারেক রহমানসহ ১৮ জন পলাতক আছেন। জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের নেতা মুফতি হান্নান ও জেএমবি সদস্য শহিদুল আলম বিপুলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় মামলা থেকে তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হয়। এ মামলায় এখন আসামির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯ জন। এর মধ্যে তারেক রহমানসহ ১৮ জন পলাতক রয়েছেন। জামিনে আছেন আটজন এবং কারাগারে ২৩ জন।