ব্রির নতুন ধান ব্রি-৮৭ অবমুক্ত হলো

দেশজুড়ে চাষাবাদের জন্য অবমুক্ত করা হলো ব্রি-৮৭ ধান। ছবি: প্রথম আলো
দেশজুড়ে চাষাবাদের জন্য অবমুক্ত করা হলো ব্রি-৮৭ ধান। ছবি: প্রথম আলো

নতুন উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত ব্রি-৮৭ উদ্ভাবন করেছেন গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বিজ্ঞানীরা। গতকাল বুধবার রাজধানীতে জাতীয় বীজ বোর্ডের সভায় ধানের এ নতুন জাত দেশজুড়ে চাষাবাদের জন্য অবমুক্ত করা হয়।

এ নিয়ে ব্রির উদ্ভাবিত উফশী জাতের ধানসংখ্যা হলো ৯২। এর মধ্যে ছয়টি হাইব্রিড ও বাকিগুলো ইনব্রিড।

সভায় ব্রির বিজ্ঞানীরা জানান, ব্রি-৮৭ ধানে হেক্টরপ্রতি গড় ফলন সাড়ে ছয় টন। এটি আমন মৌসুমের আগাম জাত। ফলন পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই জাতে ২০০৮ সালে উদ্ভাবিত আমন জাত ব্রি-৪৯-এর চেয়ে সাত দিন আগে ফলন পাওয়া যায়। নতুন জাতটির ফলন ব্রি-৪৯ জাতের তুলনায় হেক্টরপ্রতি এক টন বেশি। এ জন্য আমন মৌসুমের আগাম জাত হিসেবে এটি চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়রে জ্যেষ্ঠ সচিব মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্রির মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবিরসহ বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে মো. শাহজাহান কবির জানান, এ জাতে পূর্ণবয়স্ক একটি গাছের গড় উচ্চতা হয় ১২২ সেন্টিমিটার। কাণ্ড শক্ত বলে গাছ লম্বা হলেও ঢলে পড়ে না। এর পাতা হালকা সবুজ, ডগার পাতা খাড়া এবং ব্রি-৪৯-এর চেয়ে লম্বা ও প্রশস্ত। ধান পাকার সময় কাণ্ড ও পাতা সবুজ থাকে। এর দানা লম্বা ও চিকন। এক হাজারটি পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২৪ দশমিক ১ গ্রাম। এ ধানে অ্যামাইলোজের পরিমাণ শতকরা ২৭ ভাগ।