শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যের বই ভাঙারির দোকানে

বাগেরহাট শহরের একটি ভাঙারির দোকান থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য দেওয়া জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ১৬ বস্তা বই উদ্ধার করা হয়েছে।
বাগেরহাট শহরের একটি ভাঙারির দোকান থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য দেওয়া জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ১৬ বস্তা বই উদ্ধার করা হয়েছে।

বাগেরহাট শহরের একটি ভাঙারির দোকান থেকে শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য সরকারিভাবে দেওয়া জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ১৬ বস্তা বই উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় বিক্রিনিষিদ্ধ বই কেনার অভিযোগে পুরোনো কাগজ ও মালামাল (ভাঙারি) ব্যবসায়ী মো. রফিকুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের আমলাপাড়ার ছোট কবরস্থান মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম মো. আলিমুজ্জামান মিলন ও নাহিদা আক্তার ওই জরিমানা করেন। উদ্ধার করা চলতি শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ওই পাঠ্যপুস্তকগুলো সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার জিম্মায় রাখা হয়েছে।

নির্বাহী হাকিম মো. আলিমুজ্জামান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছোট কবরস্থান মোড়ের রফিকুল পেপার স্টোরে অভিযান চালিয়ে বিক্রিনিষিদ্ধ ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির ১৬ বস্তা পাঠ্যপুস্তক উদ্ধার করা হয়। ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ ওই বই কেনার অপরাধে ভোক্তা অধিকার আইনে ওই ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

উদ্ধার করা বইগুলো নিজের জিম্মায় রাখার কথা স্বীকার করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোসাম্মৎ মাকসুদা আক্তার বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য দেওয়া ওই বইগুলো কীভাবে বাইরে এল, তা খতিয়ে দেখে প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য আসা বই আগে একটা সময় জেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে বিতরণ হতো। তবে পাঁচ-ছয় বছর ধরে এই বইগুলো সরাসরি উপজেলায় চলে যায়। ফলে বই বিতরণ প্রক্রিয়ায় এখন জেলা শিক্ষা অফিসের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। তবে আমরা দেখাশোনা করি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ের ৬৫০ কেজি বই উদ্ধার করা হয়েছে। এই বইগুলো বিক্রয়যোগ্য নয়। যারা এগুলো বিক্রি করেছে, তারা অপরাধ করেছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে মো. কামরুজ্জামান বলেন, যে ব্যবসায়ীর দোকান থেকে বইগুলো উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন, শহরের আল-ইসলাম একাডেমির দুজন কর্মচারীর কাছ থেকে তিনি কিনেছেন। কোনো অবস্থাতেই ওই বই তারা বিক্রি করতে পারেন না। বিষয়টি খতিয়ে ও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সদর ‍উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাকসুদা আক্তারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।