১০ প্রবেশপথে মাদক প্রতিরোধ করলে ১০ হাজার জায়গায় ছড়াবে না: সিএমপি কমিশনার

সিএমপির কমিশনার মো. ইকবাল বাহার। প্রথম আলো ফাইল ছবি
সিএমপির কমিশনার মো. ইকবাল বাহার। প্রথম আলো ফাইল ছবি

উৎসমুখে মাদকের পাচার বন্ধ করার ওপর জোর দিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার মো. ইকবাল বাহার। তিনি বলেছেন, যদি প্রবেশপথের ১০ জায়গায় মাদক সরবরাহ প্রতিরোধ করা যায়, তাহলে দেশের ১০ হাজার জায়গায় তা ছড়িয়ে পড়বে না। তাই মাদকের উৎসস্থল বন্ধ করে দিতে হবে।

আজ শনিবার জব্দ হওয়া মাদক ধ্বংস করার অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনার এই মন্তব্য করেন। আজ নগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে এসব মাদক ধ্বংস করা হয়। ধ্বংস হওয়া মাদকের মধ্যে ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ ইয়াবা বড়ি এবং ৯ কেজি ৮০০ গ্রাম গাঁজা ছিল। পানিতে ভিজিয়ে ইয়াবা বড়ি পুলিশ কমিশনারের পাহাড়ের গর্তে ফেলা হয়। আর গাঁজাগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়। গত মাসে ১৩ লাখ ইয়াবার একটি চালান আটক করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এপ্রিলে আটক করা হয় ১ লাখ ২০ হাজার এবং ৭৪ হাজার ইয়াবা।

মাদকদ্রব্য ধ্বংস অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম ওসমান গণি, মহানগর হাকিম আল ইমরান খান, নগর পুলিশের দুই অতিরিক্ত কমিশনার কুসুম দেওয়ান, আমেনা বেগমসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ কমিশনার বলেন, চট্টগ্রামের বরিশাল কলোনি ছিল নগরবাসীর কাছে বিষফোঁড়া। পুলিশ মাদকের এই আখড়া ধ্বংস করেছে। পুরো নগরে আরও শতাধিক মাদকের আস্তানা আছে। পর্যায়ক্রমে সব আস্তানা ধ্বংস করা হবে। পুলিশ চট্টগ্রাম নগরে ১৪৫টির মতো আস্তানা ধ্বংস করেছে। নতুন করে কেউ মাদকের আস্তানা চালু করতে চাইলে কঠোরভাবে দমন করা হবে। নতুন করে কেউ যেন মাদক সেবন কিংবা আড্ডা দিতে নতুন কোনো আস্তানা চালু করতে না পারে, সেদিকে পুলিশ দৃষ্টি রাখবে। কেউ এই কাজ করতে চাইলে কঠোরভাবে দমন করা হবে।