কেনাকাটায় ব্যস্ত মা, সন্তান অপহরণের শিকার!

আড়াই বছরের একমাত্র সন্তান নুসরাত জাহানকে নিয়ে ঈদের কেনাকাটায় বের হয়েছিলেন মা নাহিদা আক্তার। সঙ্গে ছিলেন নাহিদা আক্তারের মা এবং বড় ভাইয়ের স্ত্রী। 

একপর্যায়ে শিশু নুসরাতকে রেখে মা কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এ সুযোগে অনেক আগে থেকে পিছু নেওয়া এক নারী নুসরাতকে নিয়ে সটকে পড়েন।
একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় হয়ে পড়েছেন বাবা-মা। ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের রাণীগঞ্জে শনিবার দুপুরের দিকে।

নুসরাতের বাবা আখিনুর ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, দুপুরে তাঁর স্ত্রী নাহিদা আক্তার শাশুড়ি এবং বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে ঈদের কেনা কাটা করতে রাণীগঞ্জ বাজারে যায়। বাজারের সাজু গার্মেন্টসে কেনাকাটা করছিল। নাহিদা আক্তার তাঁর মেয়েকে হাত ধরেই ছিল। এ সময় এক নারী নাহিদা আক্তারকে প্রচণ্ড গরমে মেয়েটি কষ্ট পাওয়ায় হাত ছেড়ে দিতে বলেন। এতে কর্ণপাত করেননি নাহিদা আক্তার। পরে কেনাকাটার ব্যস্ত হয়ে পড়লে মনের ভুলে নাহিদা আক্তার মেয়ে নুসরাতের হাত ছেড়ে দেন। এ সময় ওই নারী নুসরাতকে নিয়ে সটকে পড়েন। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও রাত ৮টা পর্যন্ত নুসরাতের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। নুসরাতের গাছে মিষ্টি রঙের জামা পরিহিত ছিল। মাথায় ছিল দুটি কালো রঙের ক্লিপ। বিষয়টি পুলিশকে জানায় আখিনুর।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, ঘটনাটি শোনার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। সাজু গার্মেন্টসে গিয়ে সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেন। সিসি টিভির ফুটেজে দেখা গেছে নাহিদা আক্তার মেয়েকে নিয়ে সাজু গার্মেন্টসে যাওয়ার পর একপর্যায়ে অপহরণকারী নারী শিশুটির হাত ধরার চেষ্টা করলে শিশুটি হাত ঝটকা দেন। এরপর গরমের কথা বলে মা কে শিশুটির হাত ছেড়ে দিতে বলেন। পরে মা কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়লে শিশুটিকে নিয়ে ওই নারী সটকে পড়েন। শিশুটিকে উদ্ধারে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা করছে বলে ওসি আমিরুল ইসলাম জানান।