বাঁশখালীর ২০ মাঝি-জেলেসহ ট্রলারটির হদিস নেই

গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া বাঁশখালীর একটি ট্রলার নয় দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। ৯ জুন রাত থেকে ২০ জন মাঝিমাল্লা, জেলেসহ নিখোঁজ ট্রলারটির এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে ১৪ জুন বাঁশখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ট্রলারের মালিক।

নিখোঁজ ২০ জনের মধ্যে বাঁশখালীর পুঁইছড়ি ইউনিয়নের ১৭ জন, চকরিয়ার বাটাখালীর একজন, কুতুবদিয়ার বড়ঘোপের একজন এবং লক্ষ্মীপুরের রামগতির একজন ছিলেন।

এফ বি জওহরলাল নামের ট্রলারটি মালিক হরিধর কৈর্তব দাশ বলেন, ‘গত ৩১ মে শেখেরখীল ইউনিয়নের ফাঁড়ির মুখ এলাকা থেকে সকালে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ট্রলারটি। ৯ জুন রাত ১২টার পর থেকে ট্রলারের কারও কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না। ১৪ জুন বাঁশখালী থানায় ট্রলার নিখোঁজের ব্যাপারে সাধারণ ডায়েরি করি।’

বাঁশখালী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি ইয়ার আলী বলেন, বাঁশখালীর একটি মাছ ধরার ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ মাঝিমাল্লা ও জেলেদের কেউ ফিরে আসেননি।

পুঁইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জহিরুল ইসলাম বলেন, এই ইউনিয়নের নিখোঁজ জেলের মধ্যে পুঁইছড়ি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ১০ জন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের একজন এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ছয়জন ট্রলারটিতে ছিলেন।

একই পরিবারের নিখোঁজ দুই ভাই সুবল জলদাশ (৪০) এবং সুরুভ জলদাশের (৪৫) বাবা শশাঙ্ক জলদাশ বলেন, ওই ট্রলারে করে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বের হন তাঁর দুই ছেলে। ৯ জুন রাত থেকে তাঁদের দুই ভাইয়ের কোনো খবর পাচ্ছেন না।

কোস্টগার্ড ইস্ট জোনের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ‘সাগর থেকে কয়েকজনের ভাসমান লাশ উদ্ধারের খবর রয়েছে আমাদের কাছে। আজ (সোমবার) বাঁশখালীর একটি মাছ ধরার ট্রলার নিখোঁজের খবর পেয়েছি।’

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, ২০ জন মাঝিমাল্লা, জেলেসহ একটি ট্রলার নিখোঁজের ব্যাপারে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। গভীর সমুদ্রে নিখোঁজ হওয়ায় আশপাশের বিভিন্ন থানায় এ ব্যাপারে বার্তা পাঠানো হয়েছে।