ফ্ল্যাটের ওপর ৭ শতাংশ করারোপের প্রস্তাব

মোশাররফ হোসেন।ফাইল ছবি
মোশাররফ হোসেন।ফাইল ছবি

বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে মদের (হার্ড ড্রিংকস) ওপর কর কমানোর প্রস্তাব করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ প্রস্তাব করেন।

ঈদের আগে–পরে পাঁচ দিন মুলতবি থাকার পর আজ বিকেলে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বসে সংসদের বৈঠক।

মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘তারকা হোটেলে হার্ড ড্রিংকসের ওপর যে করারোপ করা হয়েছে, তা অত্যধিক। যে হারে ট্যাক্স নেওয়া হয় এবং যে হারে বিক্রি করা হয়, তাতে বিদেশিরা যাঁরা আসেন, তাঁরা খুশি থাকেন না, তাঁরা এটা অপছন্দ করেন।’
মোশাররফ বলেন, দেশে এখন অনুমোদিত বারের সংখ্যা ৯৬টি। কিন্তু গুলশান–বনানীতে রেস্তোরাঁগুলোতে যেকোনো ব্র্যান্ডের পানীয় পাওয়া যায়। কিন্তু তারা কর দেয় না। তিনি এ সময় যেসব অবৈধ বার আছে, নির্দিষ্ট ফি নিয়ে এসব বার অনুমোদন দেওয়ার আহ্বান জানান।

ফ্ল্যাটের ওপর কর কমানোরও প্রস্তাব করেন গণপূর্তমন্ত্রী। তিনি বলেন, ফ্ল্যাট নিবন্ধনে ১৬ শতাংশ পর্যন্ত কর দিতে হয়। তিনি এর বদলে সরাসরি ৭ শতাংশ করারোপের প্রস্তাব করেন।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার দাবি জানিয়ে মোশাররফ বলেন, সব সাংসদ এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়েছিলেন। অর্থমন্ত্রী সব সাংসদের কাছ থেকে তিনটি করে প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকাও নিয়েছিলেন। শিক্ষকদের আন্দোলনের পর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু বাজেটে এমপিও নিয়ে কিছু নেই। তিনি পর্যায়ক্রমে দুটি করে হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির দাবি জানান।

লোডশেডিং নয় বিদ্যুৎ বিভ্রাট

বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, এখন লোডশেডিং নেই। লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ বিভ্রাট এক জিনিস নয়। ঝড়-বাতাস হলে তার ছিঁড়ে যাচ্ছে, সঞ্চালন ঠিকমতো হচ্ছে না। এ কারণে হয়তো কোনো কোনো এলাকায় বিদ্যুৎ থাকছে না। কিন্তু এটা লোডশেডিং নয় যে এক জায়গায় বিদ্যুৎ বন্ধ রেখে অন্য জায়গায় বিদ্যুৎ দিতে হচ্ছে।

নসরুল হামিদ বলেন, আগামী বছর নাগাদ ‘সিঙ্গেল ডিজিটের কল সেন্টার’ চালু করা হবে। বিদ্যুৎ নিয়ে সমস্যার কথা গ্রাহকেরা ওই নম্বরে জানাতে পারবেন।

আজ হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার, বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, টিপু মুনশি, উম্মে রাজিয়া কাজল, মোসলেম উদ্দিন, মৃণাল কান্তি দাস প্রমুখ বাজেট আলোচনায় অংশ নেন।