আমরণ অনশনে যাচ্ছেন শিক্ষকেরা

নন–এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক–কর্মচারী ফেডারেশন এমপিওভুক্তির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের উত্তর পাশের সড়কে অবস্থান নেয়। ছবি : সাইফুল ইসলাম
নন–এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক–কর্মচারী ফেডারেশন এমপিওভুক্তির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের উত্তর পাশের সড়কে অবস্থান নেয়। ছবি : সাইফুল ইসলাম

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা লাগাতার কর্মসূচির পাশাপাশি আমরণ অনশনে যাচ্ছেন। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে আমরণ অনশনে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আগামীকাল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

পূর্ব কর্মসূচি অনুযায়ী আজ মঙ্গলবারও তাঁরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তার উত্তর পাশে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। সোমবার থেকে তাঁরা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন। এর আগে তাঁরা ১০ জুন থেকে থেমে থেমে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন।

আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গিয়ে দেখা গেছে, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও খোলা আকাশের নিচে শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান করছেন। কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন খুলনার ডুমুরিয়া এস কে বাকার কলেজের প্রভাষক সুজন কুমার বিশ্বাস। তিনি বললেন, ২০০৪ সাল থেকে এই কলেজে চাকরি করছেন। কিন্তু এমপিওভুক্ত না হওয়ায় সরকার থেকে কোনো বেতন-ভাতা পান না। ফলে কষ্ট করে চলতে হচ্ছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এখানেই থাকবেন বলে জানান তিনি।

নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী প্রথম আলোকে বলেন, স্বীকৃতি পাওয়া সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে হবে। এবার দাবি পূরণ ছাড়া তাঁরা রাস্তা ছাড়বেন না।

বর্তমানে সারা দেশে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে ৫ হাজার ২৪২টি। এগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন ৭৫ থেকে ৮০ হাজার। ২০১০ সালের পর নতুন করে দেশে আর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়নি। এমপিওভুক্ত হলে শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনসহ কিছু ভাতা সরকার থেকে পান। গত বছরের ডিসেম্বর ও চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে এসব শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশনসহ লাগাতার কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। তখন একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাঁর তৎকালীন একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান সেখানে গিয়ে আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করা হয়। কিন্তু অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের যে বাজেট বক্তৃতা দেন, সেখানে নতুন এমপিওভুক্তির বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য না থাকায় শিক্ষক-কর্মচারীরা আবার আন্দোলনে নেমেছেন।