নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ৯ জন গ্রেপ্তার

রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিচ্ছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার। ছবি: প্রথম আলো
রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিচ্ছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার। ছবি: প্রথম আলো

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ৯ জন সদস্যকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। হাসান সরকার আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত অভিযোগ জমা দেন।

নির্বাচন উপলক্ষে সেখানে গঠিত বিএনপির মিডিয়া সেলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

বিএনপির দাবি অনুযায়ী গ্রেপ্তার ৯ নেতা হলেন, কাশিমপুর অঞ্চল নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব শাহীন, কাশিমপুর অঞ্চল নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য শাহজাহান ডলার, কোনাবাড়ি কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ডা. মিলন, সদস্য মিলন মিয়া, তাইজুল ইসলাম, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড বালিয়ারা কেন্দ্র কমিটির সদস্য আব্দুস সামাদ, কাউলতিয়া অঞ্চল নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য শাহ আলম, টঙ্গী ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য আবু সায়েম এবং ৪০ নম্বর ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুস সামাদ। অভিযোগ করা হয়, গতকাল গ্রেপ্তার করা ৯ জনের মধ্য প্রথম ৫ জনকে ঢাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ ও বাকি চারজনকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ও তাদের নেতা কর্মীরা গাজীপুর সিটি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই একের পর এক আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনের বহু আকাঙ্ক্ষিত ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ বানচাল করছেন। একই সঙ্গে আমার সমর্থকদের ভোট অনুষ্ঠান থেকে দূরে রাখতে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মিথ্যা মামলা দায়েরসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। গত ১৪ মেওমরা হজ¦ পালন শেষে সাবেক কাশিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও কাশিমপুর অঞ্চলে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক শওকত হোসেন সরকার দেশে ফেরেন। তাকে ওই দিন রাতে হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাকে একটি মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। শওকত হোসেন সরকার বর্তমানে জেলে আছেন। অপরদিকে গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ৯ সদস্যকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

হাসান উদ্দিন সরকার অভিযোগ করে বলেন, কাশিমপুর ও কোনাবাড়িসহ সকল অঞ্চলে ২০ দলীয় জোটের সকল নেতা কর্মী ও সমর্থকদের বাসা-বাড়িতে পুলিশ প্রতিদিনই হানা দিচ্ছে। বিশেষ করে নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট
নেতা কর্মী-সমর্থকদের তালিকা ধরে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ। এতে নেতা কর্মীরা ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ অবস্থায় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গ্রেপ্তার হওয়া ২০ দলীয় জোটের সকল নেতা কর্মীর মুক্তি এবং গণগ্রেপ্তার ও ভয়ভীতি প্রদর্শন বন্ধ না হলে সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।