গাজীপুরে নির্বাচনে সবার সুযোগ সৃষ্টিতে গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধের নির্দেশ ইসির

নির্বাচন কমিশন ভবন
নির্বাচন কমিশন ভবন

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সব দল ও প্রার্থীদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার অনুরোধ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। আজ সোমবার কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

নির্বাচন কমিশন জানায়, বিএনপির পক্ষ থেকে উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে এসে সব দল এবং প্রার্থীদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার দাবি জানায়। একই সঙ্গে পুলিশ বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার বা হয়রানির করার অভিযোগ তুলেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন বিনা পরোয়ানায় কাউকে গ্রেপ্তার না করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ে সে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

ওই চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কাউকে অযথা গ্রেপ্তার না করার সিদ্ধান্ত পুলিশকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আমরা পুরোপুরি তৈরি আছি।’ সব ভোটারকে নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

কাল মঙ্গলবার দেশের সবচেয়ে বড় সিটি গাজীপুরের নির্বাচন।

গত ১৫ মে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণের কথা থাকলেও আইনি জটিলতায় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। পরে আপিল বিভাগের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিটি নির্বাচনে ভোট নেওয়া হচ্ছে কাল। এ নির্বাচনে বড় ধরনের কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।

কয়েক দিন ধরেই বিএনপির প্রার্থী হাসান সরকার তাঁর দলীয় কর্মী-সমর্থকদের গ্রেপ্তার ও হয়রানির অভিযোগ করে আসছেন। গতকাল রোববার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে হাসান সরকার অভিযোগ করেন, তাঁর নেতা-কর্মীদের হয়রানি করছে পুলিশ। নির্বাচনের আগে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করা হয়েছে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ জন ও নারী ভোটার ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১ জন। নগরীতে নতুন ভোটার ১ লাখ ১১ হাজার।