শ্রীপুরে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী গ্রেপ্তার

স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যার ঘটনার একদিন পর আজ সোমবার বেলা পৌনে একটার দিকে ঢাকার আশুলিয়ার চারাবাগ বটতলা এলাকার কে কে ডেইরি ফার্মের সামনে থেকে স্বামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশের ভাষ্য, শ্রীপুর উপজেলার মূলাইদ মাজমের মোড় এলাকায় আনিছুর রহমান নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে স্ত্রী ঝুমা আক্তার ওরফে আহ্লাদীকে (২০) নিয়ে এক বছর ধরে ভাড়া থাকতেন শামিম আহমেদ (২৬) নামের এক যুবক। গত শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শামিম তাঁর স্ত্রী ঝুমাকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ব্যাগ গুছিয়ে পালিয়ে যান।

নিহত ঝুমা ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার উত্তর বনগাঁও গ্রামের আহাম্মদ আলীর মেয়ে।
গ্রেপ্তার শামিম আহমেদ একই উপজেলার কুমারুলী গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে।
ঝুমা স্থানীয় বদর স্পিনিং কারখানায় পলিম্যান পদে চাকরি করতেন। ঝুমার স্বামী আনোয়ারা নিট কম্পোজিট নামের একটি কারখানায় চাকরি করেন। চার বছর আগে তাঁরা বিয়ে করেছিলেন।
গতকাল রোববার শ্রীপুর থানায় শামিমকে অভিযুক্ত করে ঝুমার বাবা আহাম্মদ আলী একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুস্তাফিজুর রহমান গ্রেপ্তারের খবরটি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গোপন সূত্রে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শামিম আশুলিয়ায় অবস্থান করছেন বলে জানতে পারে পুলিশ। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার পর থেকে শামিম তাঁর বন্ধু নুরুল ইসলামের কাছে গিয়ে আত্মগোপন করেন। নুরুল ইসলাম চারাবাগ এলাকায় খোকন মিয়া নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করেন।
তিনি জানান, শামিমকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

নিহত ঝুমার স্বজনেরা অভিযোগ করেন, ঝুমাকে হত্যা করে ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাতে রাস্তায় নিয়োজিত নিরাপত্তাপ্রহরীর সামনে পড়েন শামিম। এত রাতে কোথায় যাচ্ছেন—নিরাপত্তাপ্রহরীর এমন প্রশ্নের মুখে শামিম মায়ের অসুস্থতার কথা বলে কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। স্বজনেরা পরে শামিম ও ঝুমা দম্পতির বাড়িতে গিয়ে ঘরের মেঝেতে ঝুমার রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁর গলায়, মাথায় ও কানে গভীর ক্ষত ছিল। স্বজনেরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি পুলিশকে জানান।