গরুর বিচরণ ঠেকাতে পুলিশের সহায়তা চেয়ে চিঠি

প্ল্যাটফর্মে এভাবেই বিচরণ করে গরু। এতে সেখানকার পরিবেশ নষ্ট হয় বলে অভিযোগ। সান্তাহার জংশন, বগুড়া, ৭ জুলাই। ছবি: খায়রুল ইসলাম
প্ল্যাটফর্মে এভাবেই বিচরণ করে গরু। এতে সেখানকার পরিবেশ নষ্ট হয় বলে অভিযোগ। সান্তাহার জংশন, বগুড়া, ৭ জুলাই। ছবি: খায়রুল ইসলাম

প্ল্যাটফর্মে গরুর বিচরণ ঠেকাতে পুলিশের সহায়তা চেয়ে চিঠি দিয়েছেন বগুড়ার সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার রেজাউল করিম। আজ শনিবার সকালে তিনি পুলিশসহ রেলওয়ের বিভিন্ন বিভাগীয় দপ্তরে চিঠির অনুলিপি পাঠিয়েছেন।


স্টেশনমাস্টারের দপ্তর থেকে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, সম্প্রতি সান্তাহার জংশন স্টেশন ও এর আশপাশের এলাকায় গরুর অত্যাচার ব্যাপক হারে বেড়েছে। গরুর মালিকদের বারবার বলা সত্ত্বেও নিষেধ মানছেন না তাঁরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গরু দল বেঁধে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে অবাধে বিচরণ করে। গরুর মলমূত্রে প্ল্যাটফর্ম নোংরা হয়ে যায়। এতে যাত্রীদের চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হয়। অনেক সময় গোবরে পা পড়ে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।

ওই স্টেশনের পান-সিগারেট দোকানদার বাবলা হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গরুর অত্যাচারে দোকানিসহ যাত্রীরা অতিষ্ঠ। এসব গরু দোকানের নানা পণ্য খেয়ে ফেলে। যাত্রীদের মালামালের ওপর মলমূত্র ত্যাগ করে।

ট্রেনযাত্রী রোখসানা আক্তার বলেন, ‘কোনো স্টেশনে গরুর এ ধরনের অবাধ বিচরণ দেখিনি। বিরাট আকৃতির গরু দেখে শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।’ তিনি আরও বলেন, প্ল্যাটফর্মের একাধিক জায়গায় গোবর পড়ে থাকতে দেখা গেছে। অসাবধানতাবশত কেউ পা দিলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

গরুর মালিকদের একজন কালু মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘গরু চরানোর কোনো জায়গা না থাকায় স্টেশনের আশপাশে গরু ছেড়ে দিই। অনেক সময় গরু স্টেশনে উঠে পড়ে। এরপর থেকে গরু বেঁধে রাখব।’

সান্তাহার জংশন স্টেশনের মাস্টার রেজাউল করিম বলেন, ‘গরুর মালিকদের স্টেশন এলাকায় গরু ছেড়ে না দেওয়ার জন্য অসংখ্যবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তাঁরা স্থানীয় হওয়ায় আমার কথা মানতে চান না। নিরুপায় হয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তা চেয়েছি।’

সান্তাহার রেলওয়ে জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকবর হোসেন চিঠি পাওয়ার বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।