ভূমি থেকে প্রান্তিক মানুষদের উচ্ছেদ বন্ধ করতে হবে

কাজী রিয়াজুল হক। প্রথম আলো ফাইল ছবি
কাজী রিয়াজুল হক। প্রথম আলো ফাইল ছবি

প্রান্তিক মানুষের ভূমির অধিকার রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। তিনি বলেন, ভূমি থেকে তাঁদের উচ্ছেদ করা বন্ধ করতে হবে। মানবাধিকার কমিশন এই লক্ষ্যে নাগরিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে কাজ করে যাবে। ‘ভূমির অধিকার মানবাধিকার: ইমপ্লিমেন্টিং দ্য ইউএন গাইডিং প্রিন্সিপলস অব বিজনেস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন কাজী রিয়াজুল হক। রোববার সকালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নিজস্ব কার্যালয়ে এই সভা হয়।

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের ভূমির অধিকার মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। যেকোনো মৌলিক অধিকারই মানবাধিকার। কিন্তু এই অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। অনেক মানুষ নিজের ভূমি থেকে উচ্ছেদ হয়ে দেশ ছাড়তে পর্যন্ত বাধ্য হচ্ছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল প্রভৃতির কারণেও মানুষ ভূমিহীন হচ্ছে। খাসজমির বেশির ভাগই ভূমিহীনেরা পাচ্ছেন না। ভূমির সর্বোচ্চ ব্যবহার-সংক্রান্ত একটি নীতিমালা ও তার বাস্তবায়ন থাকা দরকার।

ভূমি ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা কয়েকটি বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠনের সঙ্গে মানবাধিকার কমিশন যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সভার যৌথ আয়োজকদের অন্যতম বেসরকারি সংগঠন এএলআরডির চেয়ারপারসন খুশী কবির।

সভায় আলোচকেরা বলেন, যেকোনো উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য জমি দরকার। সেই জমি ব্যবহারের প্রক্রিয়ায়, বিশেষ করে বেসরকারি উদ্যোক্তারা যখন তাতে যুক্ত থাকেন, তখন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে। এটা রোধ করার জন্য জাতিসংঘ ‘থ্রি পিলার গাইডিং প্রিন্সিপলস’ নামে একটি নীতি-নির্দেশনা তৈরি করেছে। এই থ্রি পিলার হচ্ছে সুরক্ষা (প্রটেক্ট), সম্মান (রেসপেক্ট) ও ব্যবস্থা (রিমিডি)। নীতি-নির্দেশনা অনুযায়ী জমি ব্যবহারের প্রক্রিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধ করে সুরক্ষা দেবে সরকার।

সভায় থ্রি পিলার গাইডিং প্রিন্সিপলস-সংক্রান্ত তিনটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন বেসরকারি সংগঠন সিডিএ দিনাজপুরের নির্বাহী পরিচালক শাহ্-ই-মবিন জিন্নাহ, এএলআরডির উপনির্বাহী পরিচালক রওশন জাহান এবং মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল-মাহমুদ ফায়জুল কবীর।

সভায় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য বাঞ্ছিতা চাকমা, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান জাকির হোসেন, বাংলাদেশ আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্র নাথ সরেন, কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা, আরবানের কর্মসূচি সমন্বয়ক নাজিম উদ্দীন খানসহ কয়েকজন আলোচনায় অংশ নেন।