গাজীপুরের কালীগঞ্জের জঙ্গল থেকে পুলিশ কর্মকর্তার পোড়া লাশ উদ্ধার

নিহত পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান
নিহত পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান

গাজীপুরের কালীগঞ্জে জঙ্গল থেকে এক পুলিশ কর্মকর্তার বস্তাবন্দী পোড়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার রায়েরদিয়া এলাকা থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

নিহত পুলিশ কর্মকর্তার নাম মামুন ইমরান খান (৩৪)। তিনি ঢাকায় পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) স্কুল অব ইনটেলিজেন্স পরিদর্শক পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার কলাকুপা এলাকায়।

গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মামুন ইমরান খান ২০০৫ সালে পুলিশে যোগ দেন। ৮ জুন মামুন তাঁর মধ্য বাসাবোর বাসা থেকে বনানী এলাকায় পারিবারিক অনুষ্ঠানে যান। সেখানে যাওয়ার পর একটি চক্র তাঁকে নারীসংক্রান্ত একটি ঘটনায় জড়ানোর চেষ্টা করে। এরপর তারা তাঁকে সেখান থেকে অন্যত্র নিয়ে যায়। এরপর তাঁর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, চক্রটি নিজেদের রক্ষা করতে পুলিশ পরিচয় পাওয়ার পর তাঁকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে পুড়িয়ে হত্যার পর লাশটি গাজীপুরে জঙ্গলে ফেলে গেছে।’

মাহমুদ হাসান আরও বলেন, ‘মামুনের এক বন্ধু প্রাথমিকভাবে লাশটি শনাক্ত করেন। ওই বন্ধু পুলিশকে অনেক তথ্য জানিয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই আরও তথ্য পাওয়া যেতে পারে। এ ব্যাপারে নিহত মামুনের বড় ভাই সবুজবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তবে পুলিশের ধারণা, কোনো পেশাদার খুনিরাই ওই ঘটনা ঘটিয়েছে।’

আজ দুপুরে উপজেলার রায়েরদিয়া রাস্তার পাশের একটি জঙ্গলে বস্তাবন্দী পা বের হওয়া ওই মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। পরে তাঁরা উলুখোলা পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। পরে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর মিয়ার উপস্থিতিতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি আগুনে পোড়ানো এবং চেহারা বিকৃত ছিল।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেন, দুর্বৃত্তরা তাঁকে হত্যা করে গাজীপুরে ফেলে গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।