সুহেলকে 'ডিবি পরিচয়ে' তুলে নেওয়ার অভিযোগ

এ পি এম সুহেল। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
এ পি এম সুহেল। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম আহ্বায়ক এ পি এম সুহেলকে ঢাকার শান্তিনগরে একটি বাসা থেকে ‘ডিবি পরিচয়ে’ তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে চামেলীবাগে ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি লাকি আক্তারের বাসা থেকে সাদাপোশাকে কয়েকজন ব্যক্তি তাঁকে তুলে নিয়ে যান।

পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবি জানিয়েছে, তারা ওই নামে কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করেনি।

লাকি আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সুহেল আমার ডিপার্টমেন্টের ছোট ভাই। গতকাল রাতে খেলা দেখতে এসেছিল। খেলা দেখা শেষে আমার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে এক কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। ভোর চারটার দিকে দরজায় ধাক্কা শুনে সুহেলই আমার ঘুম ভাঙায়। আমি জানতে চাইলাম—“কে?” তাঁরা পুলিশের লোক বলে জানালেন। বললেন, “দরজা খোলেন।” আমি বললাম, “কেন দরজা খুলব, কী বিষয়?” তখন তাঁরা বলেন, “দরজা না খুললে ভেঙে ভেতরে ঢুকব।” তখন আমি বলি, “ঠিক আছে, বাড়িওয়ালাকে ডেকে আনেন, তাঁর উপস্থিতিতে আমরা দরজা খুলব।” তখন তাঁরা বাড়িওয়ালা চাচাকে নিয়ে এলে সাড়ে চারটার দিকে আমি দরজা খুলি।’

লাকি বলেন, ‘তাঁরা ১০ জনের মতো ছিল। ঘরে ঢুকেই পুরো বাসায় তল্লাশি চালান। এ সময় আমাদের মুঠোফোনগুলো জব্দ করেন। সেগুলো ঘেঁটে দেখেন। ল্যাপটপগুলোও ঘেঁটে দেখেন। তারপর দেড় ঘণ্টা ধরে আলাদা রুমে হাতকড়া পরিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সুহেলকে নিয়ে চলে যান। এ সময় সুহেলকে কেন নিয়ে যাচ্ছেন—জানতে চাইলে তাঁরা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, এই নামে কাউকে ডিবি আটক বা গ্রেপ্তার করেনি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এ পি এম সুহেলের ওপর গত ২৩ মে বিকেলে বাংলাবাজার সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের পাশে থাকা সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের সামনে হামলা হয়। সেখান থেকে তাঁকে আহত অবস্থায় প্রথমে ধূপখোলার আসগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।