মুসলিম চৌধুরী নতুন সিএজি

মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী
মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী

অর্থ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরীকে নতুন মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রশাসন অধিশাখা থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

গত ২৭ এপ্রিল সাবেক সিএজি মাসুদ আহমেদ অবসরে যান। তখন থেকে পদটি শূন্য ছিল।

যোগাযোগ করা হলে মুসলিম চৌধুরী প্রথম আলোকে জানান, তিনি মঙ্গলবার শপথ নেবেন।
মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী ৩ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে সচিব হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগে যোগদান করেন। তিনি ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ক্যাডারে যোগদান করে কন্ট্রোলার জেনারেল অব অ্যাকাউন্টস, কন্ট্রোলার জেনারেল ডিফেন্স ফাইন্যান্স এবং অর্থ বিভাগের উপসচিব, যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে বিকম (সম্মান) ও এমকম এবং যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিংয়ে ডিসটিংশনসহ এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি আইএমএফ ইনস্টিটিউট এবং বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা, ঋণ ব্যবস্থাপনা ও সামষ্টিক অর্থনীতি বিষয়ে পেশাগত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

মুসলিম চৌধুরী বিশ্বব্যাংক ও ডিএফআইডির অর্থায়নকৃত বিভিন্ন প্রকল্পে পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করেন এবং বাংলাদেশের আর্থিক খাত সংস্কার ও এর প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা খাতে ই-গভর্ন্যান্স বাস্তবায়নে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ‘জনপ্রশাসন পদক ২০১৭’ পান।
তিনি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান), তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড এবং ঢাকা বিআরটি কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। এ ছাড়া আইসিএমএবি এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের কাউন্সিল মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সরকারি মালিকানাধীন বৃহত্তম অবকাঠামো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিআইএএফএলের প্রথম এমডি এবং সিইও ছিলেন। তিনি ভুটানের থিম্পুস্থ সার্ক ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের পরিচালনা পর্ষদের ডিরেক্টর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি সরকারি ও ব্যক্তিগত সফরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, কম্বোডিয়া, নেপাল, জাপান, ভুটান, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন, হংকং, মিয়ানমার, কেনিয়া, মরক্কো ভ্রমণ করেছেন।

মুসলিম চৌধুরী চট্টগ্রামে ১৯৫৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর স্ত্রী সাবিনা হক একজন শিক্ষিকা। মুসলিম চৌধুরী দুই সন্তানের জনক।