ইসি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সক্ষম: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করেন জার্মানির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিলস অ্যানেন। ঢাকা, ১৯ জুলাই। ছবি: ফোকাস বাংলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করেন জার্মানির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিলস অ্যানেন। ঢাকা, ১৯ জুলাই। ছবি: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করে বলেছেন, চলতি বছরের শেষ দিকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) একটি অংশগ্রহণমূলক অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে সক্ষম হবে। 

জার্মানির পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নিলস অ্যানেন বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন সব রাজনৈতিক দল, প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট সবার সমর্থন ও সহযোগিতায় একটি অংশগ্রহণমূলক অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে সক্ষম হবে।
ইহসানুল করিম বলেন, তাঁরা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, আগামীর নির্বাচন, রোহিঙ্গা ইস্যু এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতার বিভিন্ন খাত নিয়ে আলোচনা করেন।
‘আমাদের নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং ইতিমধ্যে এই কমিশন সারা দেশের জাতীয় এবং স্থানীয় সরকার পর্যায়ের ছয় হাজারেরও বেশি নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। এসব নির্বাচনে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই এবং এসব নির্বাচনে কখনো আমরা এবং কখনো তারা (বিরোধী দল) জয়ী হয়েছে’, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে এ কথা বলেন প্রেস সচিব।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তনে তাঁর দলের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। দলটি সামরিক শাসনে ক্রমাগত ভোগান্তির সম্মুখীন হয়। সামরিক শাসনে এ দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে পড়েছিল।
জার্মান মন্ত্রী বলেন, এটাই তার বাংলাদেশে প্রথম সফর এবং তিনি আকাশপথে ভ্রমণের সময় এ দেশের সৌন্দর্য এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করেছেন। তিনি এ সময় বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
জার্মান মন্ত্রী, ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের উন্নয়ন এবং এটি বাস্তবায়নে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় জার্মান কোম্পানির মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
জার্মান মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি কারিগরি শিক্ষার বিষয়ে জার্মানির দীর্ঘ ঐতিহ্য থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে এ বিষয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিময়ের আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক কারণে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সংখ্যায় তারা স্থানীয় জনগণকেও ছাপিয়ে গেছে এবং তাদের সনাক্তকরণের জন্য নিবন্ধনের পর পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ এই রোহিঙ্গা সমস্যার একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রত্যাশী।

তাঁর সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে জানিয়ে জার্মান মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ সরকারের জন্য ব্যাপক সমস্যা।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর জার্মান সফরের কথা স্মরণ করে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলকে তাঁর সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।