ইসলামী আন্দোলনের ভোট বর্জন

বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ওবাইদুর রহমান ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। বেলা ১১টার দিকে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ভোষণা দেন তিনি। ওবাইদুর রহমান অভিযোগ কারচুপি নয়, ভোট ডাকাতি হচ্ছে।

ওবাইদুর রহমান অভিযোগ করেন, ‘সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত আধা ঘণ্টা ভোটগ্রহণ মোটমুটি ঠিক ছিল। এরপর থেকে আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট নিয়ে আওয়ামী লীগের লোকজন নৌকায় ভোট দিতে থাকে। সব কেন্দ্রেই এ ঘটনা ঘটছে। ইভিএম  কেন্দ্রের ডিসপ্লেতে সব প্রতীক দেখানোর কথা থাকলে শুধু নৌকা ও আওয়ামী লীগ কাউন্সিল প্রার্থীদের প্রতীক সেখানে দেখানো হচ্ছে। প্রকাশ্য নৌকায় ছিল মারা হচ্ছে। এ জন্য আমরা ভোট বর্জন করলাম।’ 

নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে অভিযোগ জানানো হয়েছে কি না—জানতে চাইলে ওবাইদুর রহমান বলেন, ‘ফোনে রির্টানিং কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনিও স্বীকার করেছেন, এমন নির্বাচন  আর হয়নি। আমরা লিখিত অভিযোগ জানাতে যাচ্ছি।’

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ১৩ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়। ১০ জুলাই প্রতীক বরাদ্দের পর টানা ১৯ দিন প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন মেয়র ও কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ১৩২ জন প্রার্থী।

হালনাগাদ ভোটার তালিকা অনুযায়ী এবার সিটি করপোরেশন এলাকায় ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২১ হাজার ৪৩৬ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ২০ হাজার ৭৩০ জন। এই সিটি করপোরেশনের চতুর্থ নির্বাচনে মেয়র পদে ৬ জন, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৯৪ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ১২৩টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৭৫০ টি। এর মধ্যে ১১টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে।

১২৩টি ভোটকেন্দ্রের ১১২টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নগর পুলিশ। নির্বাচন উপলক্ষে ২৯ জুলাই মধ্যরাত থেকে ৩০ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত নগরীতে মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যান্ত্রিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১৯ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।