মাদক আর ময়লায় অস্বস্তি

গাজীপুরের শিববাড়ি থেকে শিমুলতলী যাওয়ার পথে জয়দেবপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তায় রাখা হচ্ছে বাস। রাস্তার পাশে ফেলা হচ্ছে ময়লা–আবর্জনা। গত শনিবারের ছবি।  প্রথম আলো
গাজীপুরের শিববাড়ি থেকে শিমুলতলী যাওয়ার পথে জয়দেবপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তায় রাখা হচ্ছে বাস। রাস্তার পাশে ফেলা হচ্ছে ময়লা–আবর্জনা। গত শনিবারের ছবি। প্রথম আলো

রাস্তায় ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। পর্যাপ্ত নালা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। কিছু রাস্তা ভালো, অনেক রাস্তা ভাঙাচোরা। বাসস্ট্যান্ড থাকলেও গাড়ি এলোমেলোভাবে রাস্তায় রাখা হচ্ছে। দেখা দিচ্ছে যানজট। খেলার মাঠ, পার্ক ও গণকবরস্থান নেই। আছে মাদকের ছড়াছড়ি।

এ চিত্র গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের। গাজীপুরের মারিয়ালী, পশ্চিম জয়দেবপুর ও টেক ভাড়ারিয়া এলাকা নিয়ে গঠিত ওয়ার্ডটি।

গত শনিবার ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এবং স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওয়ার্ডের কোথাও ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা নেই। যে সেখানে পারছে, সেখানেই ময়লা ফেলছে। মূল রাস্তার ওপর, পাড়া-মহল্লার যত্রতত্র ময়লা পড়ে থাকে। দুর্গন্ধে আশপাশে দাঁড়ানো যায় না। পর্যাপ্ত ড্রেনেজ সিস্টেম (পানিনিষ্কাশনব্যবস্থা) না থাকায় বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। অন্যান্য ওয়ার্ডের চেয়ে এখানকার রাস্তাগুলো তুলনামূলক ভালো। জয়দেবপুর বাসস্ট্যান্ডের উল্টো দিকে শহীদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে শহীদ নিয়ামত সড়ক লক্ষ্মীপুরা হয়ে তিনসড়ক এলাকার দিকে চলে গেছে। পুরো সড়কটিই পিচঢালা। কিন্তু কয়েক জায়গায় রাস্তার ওপর দোকানপাট বসানো হয়েছে। জয়দেবপুর বাসস্ট্যান্ডটিও এই ওয়ার্ডেই। বেশ বড় স্ট্যান্ড। তবে বাসগুলো ভেতরে না রেখে রাখা হচ্ছে রাস্তায়। এতে সব সময় সেখানে যানবাহনের জটলা থাকে। শহীদ নিয়ামত সড়ক এলাকার বাসিন্দা আবির হোসেন বলেন, ওয়ার্ডের রাস্তাগুলো আগের তুলনায় ভালো হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টি হলে এলাকায় পানি জমে। তাই প্রতিটি রাস্তার সঙ্গে নালা করা জরুরি।

সরেজমিনে দেখা যায়, ‘ঝুমুর’ নামে দীর্ঘদিনের পুরোনো একটি সিনেমা হল আছে। একসময় হলটিতে দর্শকদের ভিড় হতো। এখন জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। ভালো সিনেমাও দেখানো হয় না। এটি বন্ধের উপক্রম। হলের সামনেই জয়দেবপুর বাসস্ট্যান্ড। এখানে যানবাহনগুলো এলোপাতাড়িভাবে রাখা হচ্ছে। অনেক যাত্রীবাহী বাসও সড়কের ওপর দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। সেখানে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

শহীদ নিয়ামত সড়ক এলাকার বাসিন্দা ও স্কুলশিক্ষক আফজাল হোসেন বলেন, এলাকাটি মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। তরুণ-যুবকেরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছেন। পুলিশের অভিযানে কিছুদিন মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনা বন্ধ ছিল। এখন আবার দাপট বেড়েছে মাদক ব্যবসায়ীদের।

ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হান্নান মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত পাঁচ বছর সাধ্যমতো এলাকার উন্নয়নের চেষ্টা করেছি। তারপরও অনেক সমস্যা রয়ে গেছে। নতুন মেয়রের সহযোগিতা নিয়ে সেই কাজগুলো করা হবে। জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য বেশ কিছু নালা করা প্রয়োজন। এটা হলেই জলাবদ্ধতা দূর হয়ে যাবে।’