কোটা আন্দোলনের নেত্রী লুমা রিমান্ডে

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার কোটা আন্দোলন নেত্রী লুৎফুন নাহার লুমার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এই আদেশ দেন।

বুধবার লুমাকে সিরাজগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আসামি লুৎফুন নাহার লিমাকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় ছেলেমেয়েরা নিরপরাধ সড়কের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা উসকানিমূলক লেখা, ছবি, ভিডিও প্রচার করা হয়। রাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্নকারীদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। আসামির নাম মামলার এজাহারে আছে। আসামি অনেক রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত আছেন। সহযোগীদের শনাক্ত করার জন্য আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

অপরদিকে, লুৎফুন নাহার লুমার আইনজীবীরা আদালতের কাছে দাবি করেন, লুমা ফেসবুকে কী পোস্টে দিয়েছেন তা বলা নেই। তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। তিনি ইডেন কলেজের ছাত্রী। রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তিনি জড়িত নন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামি লুমার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

লুমার মা রাশিদা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মেয়ে ষড়যন্ত্রের শিকার। কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত নয়।

লুমার বাবা আবদুল কুদ্দুস সরকার গোপালগঞ্জের একটি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। তিন বছর আগে তিনি মারা গেছেন।