ঈদযাত্রার ১৩ দিনে সড়ক-রেল-নৌপথে ২৭৮ জন নিহত

এবার ঈদযাত্রায় ১৩ দিনে সড়ক, রেল ও নৌপথে দুর্ঘটনায় ২৭৮ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটেছে সড়কপথে। এ পথেই নিহত হওয়ার সংখ্যা ২৫৯। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনার এ তথ্য তুলে ধরেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত দুর্ঘটনার এসব তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, এবার ১৬ থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ১৩ দিন ঈদযাত্রা বলে ধরা হয়েছে। এই সময়ে সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ২৭০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ২৭৮ জন। আর আহত হয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন। দুর্ঘটনার বেশির ভাগই ঘটেছে সড়কপথে। ওই ১৩ দিনে ২৩৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৬০ জন।
সড়ক দুর্ঘটনার বেশির ভাগই আবার ঘটেছে বাসে। বাস দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে ২৯ দশমিক ১৮ শতাংশ। কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাক দুর্ঘটনা ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ ও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৬ দশমিক ৭২ শতাংশ। এ ছাড়া রেলপথে ১৯টি দুর্ঘটনায় ১৫ এবং নৌপথে ১৪টি দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। নৌ-দুর্ঘটনায় ৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন এখনো। তাদের নিহত ব্যক্তিদের তালিকায় ধরা হয়নি।
দুর্ঘটনাগুলোর কারণ হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী বহন, অদক্ষ চালক, মহাসড়কে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নসিমন-করিমন চলাচল, বিরতিহীনভাবে যানবাহন চালানোর কারণে দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও নিরাপদ সড়কের জন্য গঠিত জোট সেভ রোড অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট অ্যালায়েন্সের (স্রোতা) আহ্বায়ক হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয় বা নেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু জবাবদিহির জায়গাটি নিশ্চিত করা হয় না। আমাদের এখানে যাঁরা নীতিনির্ধারণ করেন, তাঁরাই আবার মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধি। জবাবদিহির ব্যাপারে যে অনাগ্রহ রয়েছে, এর মূলে রয়েছে এই স্বার্থের সংঘাত।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সাবেক চেয়ারম্যান আয়ুবুর রহমান, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।