চাঁদাবাজির মামলায় যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল রিমান্ডে

মোজাম্মেলকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। ঢাকা, ৯ সেপ্টেম্বর। ছবি: আসাদুজ্জামান
মোজাম্মেলকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। ঢাকা, ৯ সেপ্টেম্বর। ছবি: আসাদুজ্জামান

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আদালতে দাবি করেছেন, চাঁদাবাজির মামলার আসামি মোজাম্মেল আর গ্রেপ্তার হওয়া মোজাম্মেল এক ব্যক্তি নন। গ্রেপ্তার হওয়া মোজাম্মেলকে সবাই চেনেন। যাত্রীদের অধিকার আদায়ে বহু বছর ধরে তিনি কাজ করে আসছেন।

জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আদালতকে বলেন, মামলায় যে মোজাম্মেলকে আসামি করা হয়েছে, তাঁর বাবা-মা কিংবা তাঁর কোনো ঠিকানা সেখানে নেই। গ্রেপ্তার মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন শুনানির সময় আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তিনি এসব কথা বলেন। কিন্তু আদালত আবেদন নাকচ করে মোজাম্মেলের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মিরপুর থানা-পুলিশ তাঁর সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছিল।

চাঁদাবাজির এ মামলাকে সাজানো দাবি করে জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আদালতকে বলেন, ‘মোজাম্মেল যাতে যাত্রীদের অধিকার আদায়ে কথা না বলতে পারেন, সে জন্য সাজানো মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

চাঁদাবাজির মামলায় মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে সিদ্ধিরগঞ্জের বাসা থেকে গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার করে  মিরপুর মডেল থানা-পুলিশ। এর আগে গত মঙ্গলবার চাঁদাবাজির এ মামলা করেন মিরপুর রোড শ্রমিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক দুলাল।

সাজানো মামলা দিয়ে মোজাম্মেলকে পরিবহন শ্রমিকনেতা বানানো হয়েছে দাবি করে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, মামলায় কোনো ঠিকানা উল্লেখ নেই। মামলার বাদী দাবি করেছেন, ১০-১৫ দিন ধরে মোজাম্মেল নামের এক লোক চাঁদা চাচ্ছিলেন। অথচ থানায় কোনো সাধারণ ডায়েরি করেননি।

মোজাম্মেলের স্ত্রী রিজু আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর স্বামী একজন সাংবাদিক। চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকার ঢাকার ব্যুরো চিফ হিসেবে কাজ করে আসছেন। গতকাল রাত তিনটার দিকে বাড়ির মালিক দরজা খুলতে বলেন। দরজা খোলার পর ছয় থেকে সাতজন পুলিশ দেখতে পান। এ সময় মোজাম্মেল ঘুমিয়েছিলেন। রিজু আরও বলেন, নিজেদের মিরপুর থানার পুলিশ দাবি করে তাঁরা বলেন, তাঁর স্বামীকে নিয়ে যেতে এসেছেন। কারণ ওপর মহলের নির্দেশ আছে। রিজু আক্তারের দাবি, যাত্রীদের কল্যাণে সভা-সেমিনারে বিভিন্ন কথা বলার কারণে ওপর মহল তাঁর স্বামীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে। তাঁর স্বামীর কাছে কেউ ১০ টাকাও পাবে না।